ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করাও জায়েয হবে না ,এবং যখন সবাই আতশবাজি করে, তখন ঐটা দেখাও জায়েজ হবে না।
(২)রাত ১২ টার পর ইশার সালাত আদায় করা যাবে। তবে বিনা প্রয়োজনে বেশ দেড়ী করা মাকরুহ।
(৩) উচ্ছস্বরের নামায গুলোতে মেয়েরা এতটুকু উচ্ছস্বরে পড়বে যে, যাতেকরে কোনো গায়রে মাহরাম তার আওয়াজ শ্রবণ করতে না পারে। আর নিম্নস্বরের নামাযে নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়, ততটুকু আওয়াজ করে পড়বে।
(৪)জ্বী, পরিপূর্ণ পর্দা করে শুধু পরীক্ষাগুলো এটেন্ড করা যাবে। যদি একই বেঞ্চে একজন পুরুষ শিক্ষার্থীর সাথে বসে পরীক্ষা দিতে হয়, তারপরও মনের মধ্যে ইস্তেগফার রেখে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা দিয়ে দিবেন।
(৫) বারবার রিপিট করার প্রয়োজন নাই। বরং অর্থ না বদলিলে যেভাবেই তিলাওয়াত করা হোক না কেন, নামায হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
(৬) পরিবারের মুরুব্বি একজন সিগারেট খান, চুলে কালো কলপ ব্যবহার করেন, কিন্তু তিনি নামাজ পড়েন, এভাবে নামাজ পড়লে নামায তো হবে, কিন্তু সেই বিষয়ের গোনাহ তো হবেই।
(৭) পরিবারের কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে অথবা ইসলামের কোনো নিয়ম না মানেন বরং কটুক্তি করেন, তখন তাকে বুঝাবেন।বুঝাতে ব্যর্থ হলে, তার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে।