আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১.থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করি না , তবে যখন সবাই আতশবাজি ফাটায় । ঐটা কি একজন মুসলিমের জন্য দেখা জায়েজ হবে?

২. রাত ১২ টার পর কি ইশার সালাত আদায় করা যাবে? অনেকসময় খুব ক্লান্ত থাকলে দেখা যায় ঘুমিয়ে পড়ছি এবং তাহাজ্জুদের সময় ইশা পড়ে এরপর ফজরের ওয়াক্ত হলে ফজর পড়ি। এভাবে কি গুনাহ হবে ?
৩. মেয়েদের নামাজে সময় কতটুকু শব্দ করে নামাজ পড়া যাবে ? মনে মনে সালাত পড়লে তাজউইদের নিয়মগুলো সঠিকভাবে এপ্লাই করতে পারি না। বেশির ভাগ সময়ই ح ع এর উচ্চারণ আসে না । তখন একটু ফিসফিস করে পড়তে হয় এবং মাঝে মাঝে তা অন্য কেউ শুনে ফেলে, এভাবে কি নামাজ হয়ে যাবে ? আসলে জানতে চাচ্ছিলাম তাজউইদের নিয়মগুলো ঠিক রেখে কিভাবে নামাজে তিলাওয়াত করবো ?
৪. আমার ভার্সিটির শেষ পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হবে, সহশিক্ষা হওয়ায় আমি কোনো ক্লাস জয়েন করিনি । পরিপূর্ণ পর্দা করে কি শুধু পরীক্ষাগুলো এটেন্ড করা যাবে ? অনেক সময় দেখা যায়, একই বেন্চে  একজন পুরুষ শিক্ষার্থীর সাথে বসে পরীক্ষা দিতে হয়, এভাবে পরীক্ষা দেয়া কি জায়েজ হবে ?
৫. সলাতে অনেক সময় তাজউইদ ঠিক রেখে পড়ার জন্য বারবার একই শব্দ বা আয়াত রিপিট করি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌ঠিক করার জন্য।   বেশিরভাগ সূরা ফাতিহা, তাশাহুদ, দুরুদে  এমন হয় । এভাবে বারবার একই জিনিস রিপিট করলে কি নামাজ হবে? এটা আমার জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যায়, উচ্চারণ ঠিক করতে অনেক সময় চলে যায় এবং নামাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায় ।
৬. পরিবারের মুরুব্বি একজন সিগারেট খান, চুলে কালো কলপ ব্যবহার করেন, কিন্তু তিনি নামাজ পড়েন, এভাবে নামাজ পড়লে কি তা সঠিক হবে ?
৭. পরিবারের কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে অথবা ইসলামের কোনো নিয়ম না মানেন বরং কটুক্তি করেন, তখন তার সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত ? তিনি কোনো কিছুই শুনতে বা বুঝতে চান না । এই অবস্থায় কি আমাদের চুপ থাকাটা আমাদের গুনাহের কারণ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করাও জায়েয হবে না ,এবং  যখন সবাই আতশবাজি করে, তখন ঐটা দেখাও  জায়েজ হবে না।

(২)রাত ১২ টার পর  ইশার সালাত আদায় করা যাবে। তবে বিনা প্রয়োজনে বেশ দেড়ী করা মাকরুহ।

(৩) উচ্ছস্বরের নামায গুলোতে মেয়েরা এতটুকু উচ্ছস্বরে পড়বে যে, যাতেকরে কোনো গায়রে মাহরাম তার আওয়াজ শ্রবণ করতে না পারে। আর নিম্নস্বরের নামাযে নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়, ততটুকু আওয়াজ করে পড়বে।

(৪)জ্বী, পরিপূর্ণ পর্দা করে শুধু পরীক্ষাগুলো এটেন্ড করা যাবে। যদি একই বেঞ্চে  একজন পুরুষ শিক্ষার্থীর সাথে বসে পরীক্ষা দিতে হয়, তারপরও মনের মধ্যে ইস্তেগফার রেখে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা দিয়ে দিবেন।

(৫) বারবার রিপিট করার প্রয়োজন নাই। বরং অর্থ না বদলিলে যেভাবেই তিলাওয়াত করা হোক না কেন, নামায হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

(৬) পরিবারের মুরুব্বি একজন সিগারেট খান, চুলে কালো কলপ ব্যবহার করেন, কিন্তু তিনি নামাজ পড়েন, এভাবে নামাজ পড়লে নামায তো হবে, কিন্তু সেই বিষয়ের গোনাহ তো হবেই।

(৭) পরিবারের কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে অথবা ইসলামের কোনো নিয়ম না মানেন বরং কটুক্তি করেন, তখন তাকে বুঝাবেন।বুঝাতে ব্যর্থ হলে, তার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...