আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
সম্মানিত মুফতী সাহেব (দা.বা),

আসসালামু আলাইকুম। আমার কিছু প্রশ্ন নিচে তুলে ধরলাম। মেহেরবানী করে জানালে খুব উপকার হবে।

১. ফাতাওয়ায়ে মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ী হুজুর দা.বা এঁর) তে দেখলাম একটা প্রশ্নের উত্তরে লিখেছেন, যদি ওসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তির মন ও মস্তিস্ক ওসওয়াসা দ্বারা প্রভাবিত/আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং কোন মুসলমান ডাক্তার এটা সত্যায়ন করে তাহলে সেই ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। আমার প্রশ্ন হল, এখানে কি ধরনের ওসওয়াসার কথা বলা হয়েছে?

২. কোন ব্যক্তির হাল এরকম যে, সবসময় মনে হয় তালাক দিয়ে দিবে। এই মনে হয় মুখে চলে আসল তালাক শব্দ। কখনো স্ত্রী পাশে বসে থাকলে মনে হয় বলে দেই তালাক। কল্পনাতেও স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে করে কল্পনাতেও হামেশাই তালাক দিয়ে দেয়। সেসময় অবশ্য মুখে বলে না। স্ত্রীর কিছু ভালো না লাগলেই মনে তালাকের কথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও চলে আসে। এই ব্যক্তির আরো নানা ধরনের সমস্যা আছে। যেমনঃ রাস্তায় কোন মানুষকে অপছন্দ হলেই তাকে নিয়ে কল্পনাতে নানা জাতের গল্প সাজায়। তাকে ধরে পিটায় কল্পনার মাঝে। এসব অনিচ্ছা সত্ত্বেও করে ফেলে। ঘরে একা থাকলে মনে হয় সামনে কোন ভয়ংকর জীন চলে আসবে। রাস্তায় রাতে বা ফজরের সময় পিছনে পিছনে কোন মানুষ হাঁটলে মনে ভয় হয় যেন পিছন থেকে চাকু মারবে। ঘুমের মাঝে মাঝে মাঝেই স্বপ্ন দেখে জীন তাকে ভয় দেখায়, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে চায়। এই লোক আবার হুট করে রেগে যায়। বেশি রেগে গেলে জিনিসপাতি ভাঙচুর করে। তবে এটা সবসময় হয় না। আবার কিছুতে একটুতেই পানি চলে আসে চোখে। বেশ ইমোশনাল।  আমার প্রশ্ন হল, এই ব্যক্তি যদি কখনো রাগের মাথায় মুখ দিয়ে 'তিন তালাক/যে কোন সংখ্যায় তালাক' বলে ফেলে, তার তালাক কি কার্যকর হবে?

***জাঝাকাল্লাহ***

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জ্বী, ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয়না।
কতটুকু বা কি পরিমাণ ওয়াসওয়াসা হলে তালাক কার্যকর হবে না,সে সম্পর্কে 
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

 (২)
জ্বী, উনি ওয়াসওয়াসার রোগী, উনার তালাক কার্যকর হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (7 points)
edited by
জাযাকাল্লাহ হযরত। এই অবস্থায় ওসওয়াসা রোগীর তালাক কোন সময় কার্যকর হবে? যেহেতু সাধারণভাবে তার তালাক বলা গণ্য করা হবে না।
by (7 points)
জাযাকাল্লাহ! হযরত, এই অবস্থায় ওসওয়াসা রোগীর তালাক কোন সময় কার্যকর হবে? যেহেতু সাধারণভাবে তার তালাক বলা গণ্য করা হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 157 views
...