আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
reshown by

১ম স্বামীর সাথে গোপনে বিয়ে হইছে, শারীরিক সম্পর্ক ও হয়েছে কয়েকবার এবং একটা ভুল বুঝাবুঝির জন্য ৩ তালাক হইছে। এখন একে অপরকে ফিরে পেতে চায়। দুজনের অবস্থাই অনেক খারাপ। সামনেই তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা ছিল। এখন ১. ১ম স্বামী যদি তার কোনো বন্ধুকে তার স্ত্রীর ব্যাপারে মিথ্যা বলে যে এইরকম নামের একজন মেয়ে আছে,ও যে তার স্ত্রী ছিল তা না বলে,  তুই চাইলে তাকে বিয়ে করতে পারিস। বন্ধু যদি রাজি হয়, বিয়ে করে এবং বিয়ের পর কোন কারণে ভালো না লাগে তাহলে সে নিজ থেকে  তালাক দেয় তাহলে ইদ্দত পালনের পরে আবার ১ম স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে কি? ২. অথবা  এইভাবে বিয়ের পর মেয়ে যদি নিজ থেকে তালাক চায় এবং ছেলে তালাক দেয় তাহলে কি ১ম স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে?  ৩. ১ম স্বামী তার বন্ধুর কাছে তার স্ত্রীর সাথে যে তালাক হইছে সবকিছু বিস্তারিতভাবে বলে এবং তাকে বিয়ে করতে বলে, বিয়ের পর ছেড়ে দেয়ার কোনো চুক্তি হবে না বরং দুজনের ই নিয়ত থাকবে স্বাভাবিক সম্পর্কের উদ্দেশ্যে বিয়ে এরপর সহবাসের কয়েক মাস পর স্ত্রী তালাক চেয়ে নিবে এটা কি প্রচলিত হিল্লে বিয়ের মত হবে?  কোন অপশনটা ভালো হয় শরীয়াহসম্মত হালালা বিয়ের জন্য। বর্তমানে মেয়ে সুইসাইড এর চেষ্টা চালায় তাও ১ম স্বামীকে পেতে চায়। উপযুক্ত পরামর্শ এর আবেদন। প্রচলিত হিল্লা বিয়ের সাথে এর পার্থক্য কিভাবে নির্ধারণ করবে 

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে হালাল হওয়ার শর্তে বিয়ে করা হয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।

দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
اگر صرف آپ کے دل میں یہ بات ہو کہ میں نکاح کے بعد طلاق لینے کی کوشش کروں گی تاکہ سابق شوہر کے لیے حلال ہو جاوٴں اور آپ کی اس نیت کا علم کسی کو نہ ہو، تو شرعا یہ نکاح جائز ہوگا اور محض دل کی نیت کی وجہ سے کوئی گناہ نہیں ہوگا۔ اور اس کے بعد اگر دوسرا شخص طلاق دیدے گا تو وہ ماجور ہوگا۔ (۳، ۴، ۵)
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ, ফাতাওয়া নং
Fatwa ID:758-798/sd=9/1437 (۱، ۲)

قال الحصکفي: وکرہ التزوج للثاني تحریما لحدیث لعن المحلل والمحلل لہ بشرط التحلیل کتزوجتک علی أن أحللک وان حلت للأول لصحة النکاح وبطلان الشرط۔۔۔۔۔۔۔ أما اذا أضمرا ذلک لا یکرہ، وکان الرجل ماجوراً لقصد الاصلاح۔۔۔۔

قال ابن عابدین: قولہ: (أما اذا أضمرا ذلک) محترز قولہ: بشرط التحلیل۔۔۔۔۔ وأورد السروجی أن الثابت عادة کا لثابت نصاً، أي: فیصیر شرط التحلیل کأنہ منصوص علیہ في العقد، فیکرہ، وأجاب في الفتح بأنہ لا یلزم من قصد الزوج ذلک أن یکون معروفاً بین الناس، انما ذلک فیمن نصب نفسہ لذلک وصار مشتہراً بہ۔ (الدر المختار مع رد المحتار: ۵/۴۷، ۴۸، کتاب الطلاق، باب الرجعة، ط: زکریا، احسن الفتاوی: ۵/۱۵۴، دار الاشاعت)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বন্ধুকে ধোকা দেয়াও জায়েয হবে না।

উত্তম হবে এটাই যে, আপনার স্ত্রী কোনো বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করে তারপর তার কাছ থেকে তালাক নিয়ে আপনাকে বিয়ে করবেন। অর্থাৎ এমন কোনো পুরুষকে বিয়ে করবেন, যার কাছ থেকে তালাক নিলে তার বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এইরকম বিয়ের ক্ষেত্রে ১ম স্বামী কি সাক্ষী হতে পারবে?
by (590,550 points)
জ্বী,১ম স্বামী  সাক্ষী হতে পারবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...