ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) স্ত্রী যদি বলে তোমাকে বিয়ে করা বা তোমার কাছে বিয়ে বসে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হইছে, আর স্বামী যদি বলে ভুল মনে হইলে যাইগ্গাগা বা ভুল মনে হইলে আসোস কেন, যার লেসার ভাল্লাগে তার কাছে যা, এদ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।
(২) স্ত্রী যদি বলে আমার আগের স্বামী তোমার থেকে ভালো ছিলো, আর স্বামী যদি উত্তর দেয়, হেই ভালো আসিল তো আমার কাসে আইসোস কেন, হের কাসেই যা, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।
(৩)স্ত্রী যদি বলে তোমার মধ্যে ওই আগের স্বামীর লক্ষণ মানে খারাপ গুন দেখতে পাই, আর স্বামী যদি বলে জে ভালা তার কাসেই তুই যা, তাহলেও স্ত্রী অধিকার পাবে না।
(৪) আমি অধিকার পাইসি কি না জানিনা। স্বামীকে জিজ্ঞেস করসি তুমি কি কখনো আমাকে ভুলে মৌখিক অধিকার দিসো কি না? সে বলে আমিতো জানিই না জে এভাবেই অধিকার দেওয়া যায়, তাহলে তোমাকে অধিকার দিবো কিভাবে আমি। এই ক্ষেত্রে আপনি অধিকার পাইনি ধরে নিবেন।
৫। আমার মনে ওয়াসওয়াসা আসতেসে জে আমি কখনো বলসি তুই খারাপ তোর সাথেই আমি থাকতামনা আর স্বামী উত্তর দিসে ভালো না লাগলে ছাইড়া দে এভাবেই বললেতো অধিকার পেয়ে যায় স্ত্রী । আমি এটা শিউর না মনের মধ্যে বার বার ওয়াসওয়াসা আসতেসে। এই ক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?? আমি কয়েকমাস ধরে তালাকের চিন্তায় ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত। এসব চিন্তা থেকে বের হতে পারছিনা। অনেক অনেক কিছু আমার মাথায় ঘুরে আর চিন্তা করতে থাকি। মানসিক ডাক্তারও দেখিয়েছি ওষুধ ও খাচ্ছি ডাক্তার থেরাপি নিতে বলসে। থেরাপি নিতে যাবো।
এখন এই ওয়াসওয়াসা যে আসে, এটাকে পরিহার করবেন।
(৬) কেউ যদি বে-খেয়ালে নিজের ওপর তালাক বলে ফেলে স্বামীকে তালাক দেওয়ার ইচ্ছা নাই বেখেয়ালে বলে ফেলসে, তাহলে তালাক হবে না।
৭। বা কেউ যদি নিজের ওপর তালাক কথাটা বলতে কেমন লাগে এই জন্য বলে নিজের ওপর তালাক তাহলে তালাক হবে যদি তার তালাকের অধিকার থাকে।নতুবা তালাক হবে না।
(৮)৬ নং আর ৭ নং আমি বলসি কিনা জানিনা আমার তীব্র সন্দেহ হচ্ছে। এখন আমি বলসি আওয়াজ হইসে কিনা নাকি শুধু মুখ আর জিহবা নরসে কোনো শব্দ হয়নি আমি সিউর না।
এদ্বারাও তালাক হবে না।
৯।যদি জিহবা মুখ নড়ে কিন্তু শব্দ না হয় তাহলে তালাক হবে না।
১০।আমি বিকাশ নাম্বার এর শেষের কয়েকটা ডিজিট লিখে তারপর লাস্ট কথাটা লিখসি। সংখ্যাবাচক শব্দ নিয়ে আমার ওয়াসওয়াসা হয় লিখতে গেলেও মুখে উচ্চারণ করতে গেলেও। তাই আমি সংখ্যা গুলো লিখার সময় মনে মনে আউজুবিল্লাহ পড়তেসিলাম। সংখ্যা লিখার পরে যখন লাস্ট লিখসি তখন মনে হলো আমি ইচ্ছা করে নিজের ওপর লাস্ট তালাক বলসি বা আমি ইচ্ছা করেই এটা ভাবসি জে লাস্ট লিখলে তালাকের কথাটা হবে নিজের ওপর লাস্ট তালাক। আমি যদি ইচ্ছা করেই ভেবে থাকি জে লাস্ট লিখলে কথাটা হবে নিজের ওপর লাস্ট তালাক তাহলে কি তালাক হবে?? আমারতো তালাকের নিয়ত নাই বা আমি কথাটা মুখেও উচ্চারণ করি নাই আমি মোবাইলে টাইপ করতেসিলাম আর মুখে আউজুবিল্লাহ পড়তেসিলাম।
এভাবেই তালাক হবে না।
১১। কেউ যদি ইচ্ছা করে ৩৬৭৩ লাস্ট এটা লিখে আর মুখে আউজুবিল্লাহ পরে আর মনে মনে নিজের ওপর লাস্ট তালাক বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে?? এটাতো কেনায়া শব্দ না।মানে আমার পূর্ব শব্দটা ছিলো ৫৩৭৮ লাস্ট ডিজিট। এও ডিজিট শব্দটা লিখার আগেই কেউ যদি শুধু ৫৩৮৪ লাস্ট লিখে মুখে আউজুবিল্লাহ পরে তালাকের ভয়েই আর মনে বলে নিজের ওপর লাস্ট তালাক, তাহলে তালাক হবে না।
১২। মোবাইলে ক্লিয়ার লিখতে টিপ দেওয়ার সময় কেউ যদি ইচ্ছা করে মনে করে আমার সব ক্লিয়ার নিজের ওপর তালাক তাহলে তালাক হবে না।
১৩। কোনো বিষয় নিয়ে হ্যা বলতে গেলেই মনে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। ছেলে যদি ডাক দেয় আমি যদি বলি হ্যা মা বোলো। তখনো মনে হয় নিজের ওপর তালাক। কেউ জিজ্ঞেস করে খাইসো ঐখানে যাবা এটা করবা হ্যা উত্তর দিলেই মনে হয় তালাকের কথা। বা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললেও মনে হয় নিজের ওপর তালাক। হ্যা কেনায়া শব্দ নয়। তালাক হবে না।
১৪। কেউ যদি কোনো প্রশ্ন করে আমরা অনেক সময় বলিনা হুম?? মানে হুম অর্থ কি বুঝাতে চাই তখনো মনে হয় নিজের ওপর তালাক। এগুলোকি কেনায়া শব্দ নয়।
১৫।তুমি আম্মুকে একটু কল দেও, তুমি একদিকে আসো একটু, একটা কথা শোনো এগুলো কি কেনায়া শব্দ? এসব বলার সময় কোনো মহিলা ইচ্ছাকৃত নিজের ওপর তালাক নিলে সেটা কি কার্যকরী হবে না।
মানে এসব বলার সময় কোনো মহিলা যদি বলে আমার ওপর একটু তালাক তাহলে তালাক হবে না।
আমার তালাকের কোনো ইচ্ছা নাই। কিন্তু এমন কোনো বিষয় নাই যেটাতে আমার মনে তালাকের কথা না আসে। আমি কথা বলতে ভয় পাই। কোনো শব্দ উচ্চারণ করলেও সেটা নিয়ে আবার ভেবে দেখি এটাকি তালাকের নিয়তে ছিলো এটা কেনায়া বাক্য নয়, এভাবে তালাক হবে না।