ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নফল নামাযের সেজদা বা অন্যান্য তাসবীহাতের রুকুনে কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত দু'আ অথবা তার সমার্থক আরবী দু'আ করা যাবে। আখেরাতের জন্য দু'আ করতে হবে। যেমনঃ-হে আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও। দুনিয়াবি দু'আ করা যাবেনা।যেমনঃ- হে আল্লাহ আমাকে এক লক্ষ টাকা দাও।অর্থ্যাৎ নফল নামাযে অতিরিক্ত দু'আ পড়া যাবে এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং তা সুন্নাতে মুআক্কাদার খেলাফ হবে না।তবে ফরয নামাযে অতিরিক্ত দু'আ না পড়াই উত্তম।বরং এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দু'আ -ই পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদা। যদিও অন্যান্য/অতিরিক্ত দু'আ সুন্নাত,তবে সুন্নাতে যায়েদা,সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।অর্থ্যাৎ সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত কিন্তু সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।
যেহেতু ফরয নামায জামাতে পড়াটাই আসল এবং ওয়াজিব।তাই এক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত অন্যান্য দু'আ সমূহ পড়া হয়,তাহলে নামায বেশ দীর্ঘ হয়ে যাবে,এজন্য দু'আ না পড়াই উত্তম। তবে নফল নামাযি ব্যক্তি (জামাত ব্যতীত) বা মুনফারিদ (একলা নামাযি)এর জন্য নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত কোরআন-হাদীসে বর্ণিত পরকালীন দু'আ করতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/185
(২)
শুধুমাত্র কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ, এবং নিজ পক্ষ থেকে করলে আখেরাতের জন্য দু'আ করতে পারবেন।
(৩)
একাকি ফরয নামাযে পড়া যাবে।নফল নামাযেও পড়া যাবে।
(৪)
জ্বী, কুরআনে বর্ণিত যে কোনো দু'আ পড়তে পারবেন।
(৪)
কেউ কেউ সুন্নত নফল নামাযে বাংলায় দু'আ করার রুখসত দিয়ে থাকেন।
(৬)
দুনিয়াবী কিছু চেয়ে দু'আ করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৭)
জ্বী, করা যাবে।
(৮) আরবীতে সকল প্রকার নামাযেই এই দু'আ পড়া যাবে।