আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
480 views
in সাওম (Fasting) by (14 points)
ইফতারের ঠিক সময়ে আযান দেওয়া হয় না তাই গুগল থেকে টাইম থেকে ইফতার করা যাবে?

হানাফী মাযহাবের অনুসারে মেয়েদের নামাজের নিয়ম জানতে চাই

বিতর নামাজে কোন দোয়া কুনুত পড়তে হয়?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
গুগলে সার্চ দিয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার থেকে আপনার এলাকার ইফতারীর টাইম দেখে ইফতারী করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।      

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব (রহ.) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্যে ) বললেন,
إِذَا سَجَدْتُمَا فَضُمَّا بَعْضَ اللَّحْمِ إِلَى الأَرْضِ ، فَإِنَّ الْمَرْأَةَ لَيْسَتْ فِي ذَلِكَ كَالرَّجُلِ(سنن الكبرى للبيهقى، كتاب الحيض، باب ما يستحب للمرأة من ترك التجافي في الركوع والسجود، رقم الحديث-3016)
অর্থাৎ, যখন সেজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো নয়। (কিতাবুল মারাসীল, ইমাম আবু দাউদ, হাদীস : ৮০ সুুনানুলকুবরা, বাইহাকী,হাদীস নং ৩০১৬)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا جَلَسْتِ الْمَرْأَةُ فِى الصَّلاَةِ وَضَعَتْ فَخِذَهَا عَلَى فَخِذِهَا الأُخْرَى ، وَإِذَا سَجَدْتْ أَلْصَقَتْ بَطْنَهَا فِى فَخِذَيْهَا كَأَسْتَرِ مَا يَكُونُ لَهَا ، وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَيَقُولُ : يَا مَلاَئِكَتِى أُشْهِدُكُمْ أَنِّى قَدْ غَفَرْتُ لَهَا (السنن الكبرى، كتاب الصلاة، باب مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْأَةِ مِنْ تَرْكِ التَّجَافِى فِى الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، رقم الحديث-3324) 
কোনো নারী যখন নামাজে বসে তখন যেন সে তার (ডান) উরু অপর উরুর উপর রাখে। আর যখন সে সেজদা করে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলি রাখে; যা তার সতরের জন্যে অধিক উপযোগী। আল্লাহ তায়ালা তাকে দেখে (ফেরেশতাদের সম্বোধন করে) বলেন, হে আমার ফেরেশতারা! তোমরা সাক্ষী থেকো, আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস নং ৩৩২৪) 

 হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে দরবারে হাজির হলাম। তখন তিনি আমাকে (অনেক কথার সাথে একথাও) বলেছিলেন:
يا وائل بن حجر إذا صليت فاجعل يديك حذاء أذنيك والمرأة تجعل يديها حذاء ثدييها (المعجم الكبير، باب الواو، وائل بن حجر الحضرمي القيل، رقم الحديث-28)
হে ওয়াইল ইবনে হুজর! যখন তুমি নামাজ শুরু করবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে। আর মেয়েরা হাত উঠাবে বুক বরাবর। (আলমুজামুল কাবীর, তাবারানী, হাদীস নং ২৮) 

হযরত আলী রা. বলেছেন,
عن علي قال إذا سجدت المرأة فلتحتفز ولتلصق فخذيها ببطنها (مصنف عبد الرزاق، كتاب الصلاة، باب تكبير المرأة بيديها وقيام المرأة و ركوعها وسجودها، رقم الحيث-5072)
মহিলা যখন সেজদা করবে তখন সে যেন খুব জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সেজদা করে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩/১৩৮ হাদিস নং-৫০৭২, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২/৩০৮, সুনানে কুবরা, বায়হাকী ২/২২২)

★সুতরাং নামাজে মহিলারা তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় সীনা পর্যন্ত হাত উঠাবে।
পক্ষান্তরে পুরুষেরা কান পর্যন্ত হাত উঠাবে।
মহিলারা সীনার উপর হাত বাধবে।
পুরুষেরা নাভির নিচে হাত বাধবে।

মহিলারা সেজদায় গিয়ে পেট রানের সাথে এবং বাহু কে বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে,কনুই জমিনের উপর বিছিয়ে দিবে।

পক্ষান্তরে পুরুষেরা পেটকে রান থেকে,বাহুকে বগল থেকে এবং কনুইকে জমিন পৃথক রাখবে।

মহিলারা দুই পা ডান দিকে বের করে দিয়ে নিতম্বের উপরে বসবে।
পক্ষান্তরে পুরুষেরা ডান পা খাড়া করে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে।

বাকি অন্যান্য ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজের নিয়ম একই।

আরো জানুনঃ


(০৩)
হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতর পড়তেন … এবং রুকুর আগে কুনূত পাঠ করতেন।’

عن أبي بن كعب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يوتر بثلاث ركعات … ويقنت قبل الركوع.
(নাসায়ী ১/২৪৮)

ইবনে মাজার রেওয়ায়েতে আছে-‘তিনি বিতর পড়তেন এবং রুকুর আগে কুনূত পাঠ করতেন।’
كان يوتر فيقنت قبل الركوع  
  (ইবনে মাজাহ পৃ. ৮৪)

দুআয়ে কুনুত হল,

اللهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ , وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي , وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

শরহু মাআনিল আছার, হাদীস নং-১৪৭৫।

দোয়ায়ে কুনুত ভুলক্রমে ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
রুকুর কথা তো বলা হয়নি তাহলে কি রুকু ছেলেদের মত দিতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...