আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
closed by
গ) কবরে কি সবাইকেই চাপ দেওয়া হবে? নেককার দের ও কি কষ্ট হবে?
ঘ) অন্য নবির উম্মত হাউসে কাউসার থেকে পানি পাবে না। তো তাদের পিপাসা কিভাবে মিটবে?
5) মুতাওয়াতির হাদিস জানা কতটুকু জরুরি?

৬) মুতাওয়াতির হাদিস কয়টি ও কি কি
closed

1 Answer

+2 votes
by (589,170 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
জেনে রাখুন! কবরের কঠোরতা ও বালা-মুসিবত হলো: কবরের চাপ দেওয়া, যা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই কবরের একটি চাপ রয়েছে, যদি কেউ এ থেকে রক্ষা বা নিরাপদ পেয়ে থাকে তবে সাদ ইবন মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু রক্ষা পেয়েছেন।”
[ এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (মুসানাদ ৬/৫৫) 


এবং অন্যান্যরা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন।] 

ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

“এ সেই ব্যক্তি যার জন্য আরশ কেঁপে উঠেছিল, আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জানাযায় অংশ গ্রহণ করেছে, তবুও তাকে একটি চাপ দেওয়ার পর তা সরিয়ে নেওয়া হয়। [নাসায়ী ৪/১০০, সিলসিলা সহীহায় হাদীসের তাখীরজ করা হয়েছে, পৃষ্ঠা নং ১৬৯৫, ৪/২৬৮ আলবানী।] 


এ বিষয়ে হাফেজ যাহাবীর রহ. একটি সূক্ষ্ণ তালীক বা সংযুক্তি রয়েছে। তিনি সিয়ারে আলামীন নুবালাতে (১/২৯০-২৯১) 
যে ভাবে নিয়ে এসেছেন এখানে আমি হুবহু তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, এ চাপ দেওয়াটা কবরের আযাব বলতে কিছু না বরং এটি একটি সাধারণ যন্ত্রনা যা মুমিন বান্দা পেয়ে থাকে, যেমন পৃথিবীতে কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ছেলে সন্তানের বিয়োগে পেয়ে থাকে, যা তার অসুখের যন্ত্রনা, আত্মা বের হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনা,কবরে পরীক্ষা এবং প্রশ্নের যন্ত্রনা, তার জন্য তার পরিবার পরিজনদের ক্রন্দনের প্রতিক্রিয়ার যন্ত্রনা, তার কবর হতে উঠার যন্ত্রনা, হাশরের ময়দানে অবস্থান ও এর ভয়াবহতার যন্ত্রনা এবং জাহান্নামে গমণের যন্ত্রনা ইত্যাদি। এ সকল ফিতনা সৃষ্টিকারী যন্ত্রনা বা মিথ্যা সংবাদ সব গুলোই মুমিন বান্দাকে পৌঁছাবে আর এগুলো কবরের আযাব নয় এবং জাহান্নামের আযাবও নয়; কিন্তু পরহেজগার বান্দার সাথে আল্লাহ সব কিছুর ব্যাপারে নম্রতা অবলম্বন করবেন আর আল্লাহর সাক্ষাৎ ব্যতীত মুমিন ব্যক্তির কোনো প্রশান্তি নেই। 


আল্লাহ তাআলা বলেন,
 وَأَنذِرۡهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡحَسۡرَةِ # مريم: ٣٩ “এবং আফসোসের দিন তাদেরকে ভীতিপ্রদর্শন করুন।” 
[সূরা মারিয়ম, আয়াত: ৩৯] 

তিনি আরো বলেন,
 وَأَنذِرۡهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡأٓزِفَةِ إِذِ ٱلۡقُلُوبُ لَدَى ٱلۡحَنَاجِرِ كَٰظِمِينَۚ #غافر: ١٨ 

“আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করে দিন, যখন প্রাণ কন্ঠগত হবে।” [সূরা গাফির, আয়াত: ১৮] (মাওলানা মিরাজ রহমান এর লিখা থেকে সংগৃহিত)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন
(১)
কবরের আযাব/চাপ সবার জন্যই হবে।কেউ বুঝতে পারবে,অনুভব করতে পারবে।আর কেউ নেকির দরূণ বুঝতেই পারবে না।

(২)
(২)
কাউসার কি মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে খাস?
وأما هل هو خاص بالنبي صلى الله عليه وسلم دون غيره من الأنبياء أم لا ؟
জবাবে বলা যায় যে,নহরে কাউসার যে কাউসার থেকে হাউজে কাউছারে পানি গিয়ে পড়বে ও জমা হবে,এমন নহরে কাউসার পূর্বেকার নবীদের থাকবে কি না সেটা নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।এটা শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সা: এর সাথে নির্দিষ্ট।আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বিশেষ ভাবে দান করেছেন।

হাউজে কাউছার সম্পর্কে এটাই মশহুর কথা যে,হাউজে কাউছার আমাদের নবীদের সাথে খাস।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لكل نَبِيٍّ حَوْضًا وَإِنَّهُمْ يَتَبَاهَوْنَ أَيُّهُمْ أَكْثَرُ وَارِدَةً وَإِنِّي أَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ "
প্রত্যেক নবীর একটি হাউজ থাকবে,এবং তারা সবাই তাদের হাউজে উপস্থিত লোকসংখ্যার আধিক্য নিয়ে গর্ব করবে।আমি চাই আমার উম্মতের সংখ্যা বেশী হোক।(সুনানে তিরমিযি-২৩৬৭)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রত্যেক নবীর একটি করে হাউজ থাকবে।সবাই তাদের হাউজ থেকে তাদের উম্মতদেরকে পানি পান করাবে।


(৩)
মুতওয়াতির পর্যায়ের হাদীস জানা জরুরী।
মুতাওয়াতির হাদিস,যা সর্বযুগে এত অধিক সংখ্যক রাবী কর্তৃক হাতীসটি বর্ণিত হয়ে আসছে,যার ব্যাপারে মিথ্যার অভিযোগ করা যাবে না।
হাদীসে মুতাওয়াতিরের সংখ্যা অনেক।পরবর্তীতে ইডিট করে দিবো ইনশা আল্লাহম


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
ustad.. শেষ নবির ভালো উম্মতরা কি পিপাসা তে থাকবে হাউসে কাউসার এর পানি খেয়েও? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...