জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ لاَ يُفْطِرْنَ الصَّائِمَ الْحِجَامَةُ وَالْقَىْءُ وَالاِحْتِلاَمُ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিষ রোযাদারের রোযা ভঙ্গ করে নাঃ রক্তমোক্ষণ, বমি ও স্বপ্নদোষ।
(তিরমিজি ৭১৯. হকীকাতুস সিয়াম (২১-২২), আবূ দাউদ (৪০৯)
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যদি কেউ স্বপ্নে হস্তমৈথুন করতে দেখে,এক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠার পর বীর্য বের হওয়া বা মযি বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তার উপর গোসল ফরজ হবে।
নতুবা গোসল করতে হবেনা।
সে রোযাদার হলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তাই উক্ত রোযার কাযা আদায় করতে হবেনা।
(০২)
সে যদি ঘুম থেকে উঠার পর বীর্য বের হওয়া বা মযি বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়,তারপরেও ফরজ গোসল না করে নামাজ আদায় করে,সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ আদায় হবেনা।
সেই নামাজ এর কাজা আদায় করতে হবে।
আর অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়ার দরুন মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।