আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ ওয়া বারকাতুহু শাইখ।


আমি সাইটের ফতোয়া পড়ে জেনেছি যে, একজন মুসলিম ভাই কোনো মেয়েকে প্রস্তাব দিলে সে প্রস্তাব ঝুলন্ত অবস্থায় অন্য ভাই সেখানে প্রস্তাব দেওয়া জায়েজ নেই। যদিও অনুমতি দিলে দিতে পারে।

যদি কোনো মেয়েকে অন্য কোনো ভাই প্রস্তাব দিলো কি না সেটা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিলে গুনাহ হবে?
আর পাত্রী পক্ষের যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি দ্বিতীয় পাত্র প্রস্তাব দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হলে পাত্রীর জন্য কি দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হবে?
[উল্লেখিত অবস্থায়, প্রথম পাত্রের সাথে মোহরানা বিষয়ে পাত্রীর অভিভাবকের বাকবিতন্ডা চলছে। যার কারণে বিয়ের কোনো কথা পাকাপাকি হয়নি। তবে পাত্র পাত্রীর সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করেছে। পাত্রী বলেছে ছেলের সামর্থ্যানুযায়ী মোহরানা আদায় তার কাম্য। তার অধিক দাবি তিনি রাখবেন না। ছেলে এটাতে ভরসা পায়। তবে অভিভাবক পর্যায়ে বিয়ের কোনো পাকাপাকি হয়নি। এর মাঝেই পাত্রীর নিকট দ্বিতীয় পাত্র আসে, যিনি দ্বীনদার পাত্রী খুজছে এবং সামর্থ্যানুযায়ী পাত্রীর পরিবার দাবি অনুযায়ী অধিক মোহরানা দিতে তিনি সক্ষম। এই অবস্থায় পাত্রীর কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত?]

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। 
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।(মিশকাত-২৮৫০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন মুসলিম ভাই কোনো একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো, এই প্রস্তাব ঝুলন্ত থাকাবস্থায় অন্য ভাইর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না। 
হ্যা, যদি কোনো মেয়েকে কোনো ভাই প্রস্তাব দেয়,এই প্রস্তাবের বিষয়টা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে,তখন তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিতে পারবেন।এতে ঐ পাত্রের গোনাহ হবে না।

(২)
 যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি অন্য কোনো পাত্র প্রস্তাব দিয়ে দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান থাকে তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হয়,তাহলে তখন পাত্রী পক্ষের জন্য দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হতে পারে।


(৩)
এমতাবস্থায় পাত্রী ইস্তেখারা করে যে কোনো পাত্রের প্রস্তাবকে গ্রহণ করে নিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...