ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আগের নামাজই সঠিক। হয়নি হয়নি, এটা আপনার মনের ওয়াসওয়াসা। সুতরাং পরবর্তীতে যা পড়বেন, সেগুলো নফল হিসেবে বিবেচিত হবে।
(২)
পরে আবার সেই এক ই নামাজ পড়ার জন্য আগের নামাজ বাতিল হবে না।
(৩)
হঠাৎ এরকম সময় কম থাকায় ফজরের ফরয আদায় করার মতো সময় থাকলেও সুন্নাতের সময় থাকে না।সেক্ষেত্রে সূর্যোদয়ের পর সুন্নাতকে কাযা আদায় করতে হবে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নত পড়তে পারবে না,সে যেন সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত সুন্নত পড়ে নেয়।(সুনানু তিরমিযি-৪২৩)(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৪৭)