আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামুআ'লাইকুম। আমি একজন মেয়ে এবং আমি বর্তমানে একটি বিশ্ববদ্যালয়ে honours 1st year এ পড়ি। যেখানে ছেলে - মেয়ের ফ্রি মিক্সিং বিদ্যমান। আমি যতটা সম্ভব এইসব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আমি এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনায় তেমন মনযোগ না দিয়ে দ্বীনি ইলম অর্জন সময় বেশি দিচ্ছিলাম। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার নির্যাতিত উম্মার আমার সাহায্যের দরকার। তাই আমি ছেলে - মেয়ের একসাথে পড়াশুনা হয় এমন পরিবেশে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিয়ে পাশাপাশি দ্বীনি ইলম অর্জন যদি করি অর্থাৎ দ্বীনি ইলম অর্জনে যদি বর্তমানের চেয়ে কম সময় ব্যায় করি তবে সেটা কতটুকু ঠিক হবে? উল্লেখ্য, আমি বর্তমানে ৩-৪ টা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ইলম অর্জনের চেষ্টা করছি, এর বদলে আমি যদি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে ইলম অর্জন করি এবং বাকিগুলো বাদ দেই তাহলে এইটা কতটুকু ঠিক সিদ্বান্ত হবে? আর একটা কথা, আমার বাবা দ্বীনি ইলম অর্জনের বিপক্ষে তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ায় ভালো করলে উনিও খুশি থাকবে এবং আমি উম্মার সেবাও করতে পারবো। এইটা শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণে চিন্তা করতেছি নাকি আমার সিদ্বান্ত আসলেই ঠিক তা বুঝতেছি না, তাই আপনাদের কাছে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (575,070 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله
 وبركاته بسم الله الرحمن الرحيم 

ফরজ ইলম অর্জনের পর অন্যান্য ইলম অর্জন ফরজ থাকেনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একটি ক্লাশ  করতে পারবেন,ক্লাশ কমিয়ে দিতে পারবেন।

ফরজ ইলম এর পরিমান সম্পর্কে জানুনঃ

ফ্রী মিক্সিং পদ্ধতির এই যামানায় শিক্ষাগ্রহণ সম্পর্কে পাকিস্তান শরয়ী কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুফতী তাক্বী উসমানী (দাঃবাঃ) এক প্রশ্নের জবাবে বলেনঃ

সহশিক্ষা নাজায়েয ও হারাম। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় দ্বীনদারের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।সরকারী-বেসরকারি সমস্ত পদ-পদবীতে অমুসলিম -ফাসিকদের জয়জয়কার।

বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)

আরো জানুনঃ

সুতরাং আপনি এমন দুনিয়াবি ইলম অর্জন করতে পারবেন,এতে কোনো সমস্যা নেই। 
তবে সর্বাবস্থায় খেয়াল রাখবেন,যাতে  করে পর্দার ফরজ বিধান লঙ্ঘন না হয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ   

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

মহিলাদের চাকুরী সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...