হুজুর দেখিয়েন একটু

Question

১. জানার জন্য প্রশ্নটি করছি- কেউ যদি আল্লাহ এবং রসুল (স.) কে লাত্থি দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে কোনো কিছুতে লাত্থি দেয় তবে কি তাঁকে কাফফারা দিতে হবে? নাকি শুধুমাত্র তওবা করলে হবে?


২. কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে রাগ করে যদি বলে যে, "তোমার গায়ে কাঁটা আছে। আমাকে ধরবে না।"

স্বামী যদি বলে যে, "একটু পরেই ধরতেছি" তাহলে তালাক বা সমস্যা হবে?


৩. ২ নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে সমস্যা হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

কেউ যদি আল্লাহ এবং রাসুল (স.) কে লাথি দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে কোনো কিছুতে লাত্থি দেয়, তবে তার ঈমান থাকবে না। তাকে তাওবাহ করে ঈমানকে নবায়ন করতে হবে।

(২)

কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে রাগ করে যদি বলে যে, "তোমার গায়ে কাঁটা আছে। আমাকে ধরবে না।"

স্বামী যদি বলে যে, "একটু পরেই ধরতেছি" তাহলে তালাক হবে না। 

(৩)

২ নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হোক বা সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে হোক, তালাক হবে না।

আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835