আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১/দাইয়্যুস কি কি কারণে হয়?

২/ দাইয়্যুস কি সালাম পাওয়ার যোগ্য?

৩/দাইয়্যুসের সাথে কেমন হবে সাধারণ মুসলিমের আচরণ?

৪/কারো ছেলে সন্তান যদি শরীয়াহ পর্দা লংঘন করে সেও কি দাইয়্যুস হিসেবে গণ্য হবে?

 যেমন হাফপ্যান্ট পরে হাঁটু বের করে প্রকাশ্যে হাটা

৫/ছেলে বা মেয়ে যদি নেশা বা যিনায় লিপ্ত থাকে এবং মা-বাবা মেনে নেয় সেক্ষত্রেও কি দাইয়্যুস হবে?

৬/দাইয়্যুস ব্যাক্তিকে কীভাবে বোঝানো যেতে পারে?

ক)মুরব্বিদের ক্ষেত্রে

খ) ভাই-বোনের ক্ষেত্রে

৭/সমাজের এই ভয়ংকর পরিবর্তন ও বিপর্যয়ে সমস্যা সমাধানে আমি একজন যুবক হিসেবে কি কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/6996/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
দাইয়ুস সে ব্যক্তিকেই বলা হয়, যে তার পরিবার পরিজনকে সঠিক রাস্তায় পরিচালনা করেন না।
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকেও দাইউস বলা হয়। 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, “আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়”[ মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯ ]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন : 
‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ)! দাইউস কে? উত্তরে রাসুলূল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পরিবারে আল্লাহ্র আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন তৎপরতা অবলম্বন করে না বরং উপেক্ষা করে চলে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ‘দাইউস হল সে, যে তার পরিবারে বেহায়পনার বাস্তবায়নে সন্তষ্ট ও পরিতুষ্ট।’ (মুসনাদে আহমদ)

কোরআনে আল্লাহ বলেন, 
“তোমরা নিজেরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর। যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যার উপর নিয়োজিত রয়েছেন কঠোর হৃদয় সম্পন্ন ফিরিশতাগণ, তারা আল্লাহ যা নির্দেশ করেন তা বাস্তবায়নে অবাধ্য হোন না, আর তাদের যা নির্দেশ প্রদান করা হয়, তা-ই তামিল করে’’।( সূরা আত-তাহরীম: ৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০২)
দাইয়্যুস যেহেতু মুসলমান, সুতরাং সেও সালাম পাওয়ার যোগ্য।

(০৩)
অন্যান্য মুসলিমের ন্যায় তার সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
কোনোভাবেই মন্দ আচরণ করা যাবেনা।
ইসলাম কাফেরের সাথেও মন্দ আচরণ এর শিক্ষা দেয়না।
দাইয়ুস তো মুসলমান, সুতরাং তার সাথেও ভালো আচরণ করতে হবে।

(০৪)
উক্ত ছেলে বালেগ হলে এক্ষেত্রে তার পিতা সাধ্যমতো চেষ্টা না করলে সে হাদীসের ভাষায় দাইয়্যুস হিসেবে গণ্য হবে।

(০৫)
সেক্ষত্রেও দাইয়্যুস হবে।

(০৬)
উপরে উল্লেখিত হাদীস গুলি তাদের শুনিয়ে বুঝানো দরকার। 
যে এখানে নিজে পাপ কাজ না করেও নিজ অধিকারভুক্তদের কারনে নিজেকে জাহান্নামে যেতে হবে।

বিষয়টি সাধ্যমতো ভালোভাবে বুঝাতে হবে।

(০৭)
মুখ দ্বারা কথা বলার শক্তি থাকলে কথা বলবেন।
পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন। 
নতুবা অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...