১. আমি উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে চাই , আমার সেই সকল দেশে ইসলামের জন্য কাজ করার ও ইচ্ছে আছে চাই আমার দ্বারা অমুসলিমের ভূমিতে কিছু একটা অন্তত ইসলামের খেদমত হোক । এখন বিদেশ যেতে হলে যেখানে একটি ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হয় IELTS । সেখানে একটি অংশে কিছু ইংরেজী লেখা থাকে, যা পড়তে হয় আর সেই লেখা অনুযায়ী প্রশ্ন থাকে যার অনুযায়ী উত্তর দিতে হয় । আমি দেখলাম মাঝে মধ্য ওরা সেই সকল জায়গায় প্রানী বিবর্তন এর সংক্রান্ত কথা ও লেখে । আর প্রশ্নে বিভিন্ন ক্যাটাগরী থাকে যেমন ,হ্যা/না ,শূণ্যস্থান, সঠিক উত্তর নির্বাচন ইত্যাদি। এখন হ্যা/না সেকশনে তারা যদি কোনো ইসলাম বিরুধী কথা /সেই সকল কুফরীর সমর্তনে কোনো লেখা সত্য না মিথ্যা জানতে চায় আর আমি যদি তাদের দেওয়া লেখার আলোকে তা সত্য লিখে ফেলি বা শূণ্যস্থানে এমন কথা থাকে যা বসিয়ে পড়লে তা ইমান বিরুধী হয় তবে কি আমার দ্বারা কুফর হবে ? আমার কি ইমান চলে যাবে এতে? উল্লেখ্য এই সকল পরীক্ষায় কোনো বর্ণনা মূলক লেখা লাগে না , কেবল আলাদা পাতায় জবাব টি লিখতে হয়, শূন্যস্থানের শব্দ বা হ্যা/না ইত্যাদি । ( প্রশ্নে বেশি অংশ লেখা থাকে যে ,’যে লেখা তারা দিয়েছে সেই লেখার আলোকে জবাব দিতে, আর না লিখা থাকলেও জবাব ওই লেখার আলোকে দেওয়ার ই নিয়ম )
২. পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই রকম পরীক্ষা ঘরে দিলে তা তে যদি প্রথম প্রশ্নের ন্যায় জবাব লিখি তবে কি আমার কুফর হবে ?
৩.কোনো মেয়ে যদি বলে , অনেক দিন নামাজ পরার পরে মাঝে মাঝে মনে হয় ,” কয় টা দিন নামাজ না থাকলে ভালো হতো / কয়টা দিন নামাজ পরা না লাগলে ভালো হতো এবং পরে প্রতি মাসের পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরে আবার নাামাজ পরা শুরু করলে সব ঠিক হয় ”’ এতে কি তার কুফর হবে ??
৪. ওয়াজের জন্য একজন টাকা দেওয়ার সময়, অপরজন যদি বলে এভাবে টাকা দেওয়া আমার পছন্দ না, কেনো টাকা দিয়া এরারে আইনা ওয়াজ করানি লাগবো? এটা শুনে অপরজন যদি বলে ঠিকই বলছো।
এতে কি কারো ইমানে সমস্যা হবে?
৫. কেও মজা করে একটা বলার পর আলহামদুলিল্লাহ /মাশাআল্লাহ জুরে দেওয়ার পর তা শুনে কেও যদি হাসে তবে কি তাদের কুফর হবে?
যেমনঃ ৪০০ টাকার কোনো জিনিসের দাম কেও ১০০ বলায় দোকানদার মজা করে বললো, মাশাআল্লাহ, শুনে অনেকে হাসলো..
৬. আমি যখন বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, তখন অনেকে আমাকে বাম বলতো, বলতো বাম এরা একটু মেধাবী একসেপশনাল ইত্যাদি। তাই কেও বামপন্থী বললে খুশি হতাম, এজন্য কি আমার কুফর হয়েছিল??
৭. কাওকে নিয়ে একটু কথা বলার পরে সে যদি আসে, এটা দেখে কেও যদি মজা করে বলে, তর হায়াত আছে। এতে কি ইমানে সমস্যা হয়্?
৮. কেও যদি তার বউকে বলে, তোমার গাল তোমার মায়ের মতো নরম/ তোমার গাল তোমার মায়ের মতো/ তোমার গাল তোমার মা আর নানুর মতো হয়েছে... তবে কি জিহার হবে?