আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by

১. আমি উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে চাই , আমার সেই সকল দেশে ইসলামের জন্য কাজ করার ও ইচ্ছে আছে  চাই আমার দ্বারা অমুসলিমের ভূমিতে কিছু একটা অন্তত ইসলামের খেদমত হোক । এখন বিদেশ যেতে হলে যেখানে একটি ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হয় IELTS । সেখানে একটি অংশে কিছু ইংরেজী লেখা থাকে, যা পড়তে হয় আর সেই  লেখা অনুযায়ী প্রশ্ন থাকে যার অনুযায়ী উত্তর দিতে হয় । আমি দেখলাম মাঝে মধ্য ওরা সেই সকল জায়গায় প্রানী বিবর্তন এর সংক্রান্ত কথা ও লেখে । আর প্রশ্নে বিভিন্ন ক্যাটাগরী থাকে যেমন ,হ্যা/না ,শূণ্যস্থান, সঠিক উত্তর নির্বাচন ইত্যাদি। এখন হ্যা/না সেকশনে তারা ‍ যদি কোনো ইসলাম বিরুধী কথা /সেই সকল কুফরীর সমর্তনে কোনো লেখা সত্য না মিথ্যা জানতে চায় আর আমি যদি তাদের দেওয়া লেখার আলোকে তা সত্য লিখে ফেলি বা শূণ্যস্থানে এমন কথা থাকে যা বসিয়ে পড়লে তা ইমান বিরুধী হয়  তবে কি আমার দ্বারা কুফর হবে ? আমার কি ইমান চলে যাবে এতে? উল্লেখ্য এই সকল পরীক্ষায় কোনো বর্ণনা মূলক লেখা লাগে না , কেবল আলাদা পাতায় জবাব টি লিখতে হয়, শূন্যস্থানের শব্দ বা হ্যা/না ইত্যাদি  ।    ( প্রশ্নে বেশি অংশ লেখা থাকে যে ,’যে লেখা তারা দিয়েছে সেই লেখার আলোকে জবাব দিতে,  আর না লিখা থাকলেও জবাব ওই লেখার আলোকে দেওয়ার ই নিয়ম )

২. পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই রকম পরীক্ষা ঘরে দিলে তা তে যদি প্রথম প্রশ্নের ন্যায় জবাব লিখি তবে কি আমার কুফর হবে ?

৩.কোনো মেয়ে যদি বলে , অনেক দিন নামাজ পরার পরে মাঝে মাঝে মনে হয় ,”  কয় টা দিন নামাজ না থাকলে ভালো হতো / কয়টা দিন নামাজ পরা না লাগলে ভালো হতো এবং পরে প্রতি মাসের পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরে আবার নাামাজ পরা শুরু করলে সব ঠিক হয় ”’ এতে কি তার   কুফর হবে ??

৪. ওয়াজের জন্য একজন টাকা দেওয়ার সময়, অপরজন যদি বলে এভাবে টাকা দেওয়া আমার পছন্দ না, কেনো টাকা দিয়া এরারে  আইনা  ওয়াজ করানি লাগবো? এটা শুনে অপরজন যদি বলে ঠিকই বলছো।
এতে কি কারো ইমানে সমস্যা হবে?

৫. কেও মজা করে একটা বলার পর আলহামদুলিল্লাহ /মাশাআল্লাহ জুরে দেওয়ার পর তা শুনে কেও যদি হাসে তবে কি তাদের কুফর হবে?
যেমনঃ ৪০০ টাকার কোনো জিনিসের দাম কেও ১০০ বলায় দোকানদার মজা করে বললো,  মাশাআল্লাহ,  শুনে অনেকে হাসলো..

৬. আমি যখন বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, তখন অনেকে আমাকে বাম বলতো, বলতো বাম এরা একটু মেধাবী একসেপশনাল ইত্যাদি। তাই কেও বামপন্থী বললে খুশি হতাম, এজন্য কি আমার কুফর হয়েছিল??

৭. কাওকে নিয়ে একটু কথা বলার পরে সে যদি আসে, এটা দেখে কেও যদি মজা করে বলে, তর হায়াত আছে। এতে কি ইমানে সমস্যা হয়্?

৮. কেও যদি তার বউকে বলে, তোমার গাল তোমার মায়ের মতো নরম/ তোমার গাল তোমার মায়ের মতো/ তোমার গাল তোমার মা আর নানুর মতো হয়েছে... তবে কি জিহার হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/26400/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেনঃ-
 
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের  যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না। 
,
★সুতরাং পরীক্ষায় বর্ণনার জন্য যেকোনো কুফরী কথা/মিথ্যা গল্প লিখলে ঈমান চলে যাবেনা।
এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে।
,
তবে ইসলাম বিরোধী কোনো আকীদা পোষন করা জায়েজ হবেনা।    

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এভাবে পরীক্ষায় কুফরি কোনো কথাকে সত্য লেখা,বা ঈমান বিরোধী কোনো কথায় শুন্যস্থান পূরণ করায় আপনার ঈমান চলে যাবেনা। কুফরি হবেনা।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে। ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। 

(০২)
আপনার আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এভাবে পরীক্ষায় কুফরি লিখলে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। কুফরি হবেনা।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে। 

(০৩)
না,এতে তার কুফর হবেনা। 

(০৪)
এতে কারো ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এখানে তো আল্লাহকে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা হয়নি।
তাই এতে কুফরি হবেনা।

(০৬)
এক্ষেত্রে কুফরি হয়নি।
আপনি যদি সে সময়ে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কাজ বা কথা না বলে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(০৭)
এতে ঈমানে সমস্যা হয়না।

(০৮)
এতে যিহার হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...