জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
""বাসি ঘড় সকালে ঝাড়ু না দিয়ে কাজ করলে উন্নতি হয় না""
এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার পূর্ণ কথা। কুরআন ও হাদিসে এসব কিছু নেই।
সুতরাং তা ভিত্তিহীন ও শরিয়ত বর্হিভূত কথা-তাতে কোন সন্দেহ নাই।
প্রকৃতপক্ষে এগুলো সুস্পষ্ট কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন ভ্রান্ত বিশ্বাস যেগুলোর সাথে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নাই। ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাবে এ বিষয়গুলো সম্ভবত: হিন্দুদের থেকে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করেছে।
★সুতরাং কেউ যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে, বাসি ঘড় সকালে ঝাড়ু দিয়ে কাজ করলেই কেবল উন্নতি হয়,আর ঝাড়ু না দিয়ে কাজ করলে উন্নতিই হয় না
তাহলে তা শিরক বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে তাকে পুনরায় কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহন করতে হবে।
,
কারণ এসব জড়পদার্থ মানুষকে উন্নতি করতে পারেনা,অবনতিও করতে পারেনা। সকল উন্নতির ও অবনতিও মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّـهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ
“আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খণ্ডাবার মত কেই নাই তিনি ছাড়া।” (সূরা ইউনুস: ১০৭)
পক্ষান্তরে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, এসব জিনিস উন্নতি হওয়ার ওসিলা (মাধ্যম) মাত্র তাহলে তা শিরক না হলেও ভ্রান্ত ও হারাম বিশ্বাস-তাতে কোনও সন্দেহ নাই। সুতরাং এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে। তার ঈমান চলে যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا طِيَرَةَ وَخَيْرُهَا الْفَأْلُ» قَالُوا: وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ: «الْكَلِمَةُ الصَّالِحَة يسْمعهَا أحدكُم»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কিছুকে অশুভ গণ্য করো না। অবশ্য কিছু শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা উত্তম। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ শুভ লক্ষণ কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারো পক্ষ কোন ভালো কথা, যা সে শুনতে পায়।
(বুখারী ৫৭৫৪, ৫৭৫৫; মুসলিম (২২২৩)-১১০, আহমাদ ৭৬১৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১২৪, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭০৩, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ১৯৫০৩, বায়হাক্বী’র কুবরা ১৬৯৬০, শু‘আবুল ঈমান ১১৬৮, আল জামি‘উস্ সগীর ১৩৪৮৩, তিরমিযী ১৬১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫২৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৫৭৬, ইবনু মাজাহ ৩৫৩৭।)
জাহিলী যুগের লোকেরা কোন সফরে বা প্রয়োজনে বের হওয়ার পূর্বে পাখি উড়াত। পাখি যদি উড়ে ডান দিক দিয়ে যেত তবে তারা এটাকে বারাকাত মনে করত। তখন তারা তাদের সফরে বা প্রয়োজনে বের হত। আর পাখি যদি উড়ে বাম দিকে যেত সেটাকে তারা অশুভ লক্ষণ মনে করত এবং তাদের সফর বা প্রয়োজন থেকে না বের হয়ে ফিরে আসত। আর এ কাজ তাদেরকে কল্যাণ থেকে অনেক সময় ধরে বিরত রাখত। এ কারণে শারী‘আত এটা নিষেধ করেছে এবং তা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। আর সংবাদ দিয়েছে যে, উপকার বা অপকার করার মতো কোন ক্ষমতাই তার নেই। আর এটাই হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (لَا طِيَرَةَ)-এর অর্থ। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২২২৩)
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ইমান নষ্ট হবেনা।