আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন (১)যদি কোন বেক্তি মনে করে যে, বাসি ঘড় সকালে ঝাড়ু না দিয়ে কাজ করলে উন্নতি হয় না। এ ধরনের  কথা যদি বিশ্বাস করে তাহলে কি তার ইমান  নষ্ট হয়ে যাবে কি? এটা কি শিরক না কি কুসংস্কার। যদি কেউ এমনটি বিশ্বাস করে তাহলে কি তাকে আবার নতুন করে কালেমা পড়তে হবে?
প্রশ্ন (২)যদি কোন বেক্তি দাড়ি পছন্দ করে এবং নিজেও দাড়ি রাখে কিন্তু কোন একজন ব্যক্তির অনেক বড় দাড়ি দেখে তার দাড়ি যদি কোন বাজে কোন কিছুর মতো এমন খেয়াল যদি তার মনে আসে তাহলে কি তার ইমান নষ্ট হবে  কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
""বাসি ঘড় সকালে ঝাড়ু না দিয়ে কাজ করলে উন্নতি হয় না""
এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার পূর্ণ কথা। কুরআন ও হাদিসে এসব কিছু নেই।
সুতরাং তা ভিত্তিহীন ও শরিয়ত বর্হিভূত কথা-তাতে কোন সন্দেহ নাই।

প্রকৃতপক্ষে এগুলো সুস্পষ্ট কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন ভ্রান্ত বিশ্বাস যেগুলোর সাথে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নাই। ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাবে এ বিষয়গুলো সম্ভবত: হিন্দুদের থেকে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করেছে।

★সুতরাং কেউ যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে, বাসি ঘড় সকালে ঝাড়ু দিয়ে কাজ করলেই কেবল উন্নতি হয়,আর ঝাড়ু না দিয়ে কাজ করলে উন্নতিই হয় না

তাহলে তা শিরক বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে তাকে পুনরায় কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহন করতে হবে। 
,
কারণ এসব জড়পদার্থ মানুষকে উন্নতি করতে পারেনা,অবনতিও করতে পারেনা।  সকল উন্নতির ও অবনতিও মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّـهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ

“আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খণ্ডাবার মত কেই নাই তিনি ছাড়া।” (সূরা ইউনুস: ১০৭)

পক্ষান্তরে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, এসব জিনিস উন্নতি হওয়ার ওসিলা (মাধ্যম) মাত্র তাহলে তা শিরক না হলেও ভ্রান্ত ও হারাম বিশ্বাস-তাতে কোনও সন্দেহ নাই। সুতরাং এক্ষেত্রে তাকে তওবা করতে হবে। তার ঈমান চলে যাবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا طِيَرَةَ وَخَيْرُهَا الْفَأْلُ» قَالُوا: وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ: «الْكَلِمَةُ الصَّالِحَة يسْمعهَا أحدكُم»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কিছুকে অশুভ গণ্য করো না। অবশ্য কিছু শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা উত্তম। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ শুভ লক্ষণ কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারো পক্ষ কোন ভালো কথা, যা সে শুনতে পায়।

(বুখারী ৫৭৫৪, ৫৭৫৫; মুসলিম (২২২৩)-১১০, আহমাদ ৭৬১৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১২৪, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭০৩, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ১৯৫০৩, বায়হাক্বী’র কুবরা ১৬৯৬০, শু‘আবুল ঈমান ১১৬৮, আল জামি‘উস্ সগীর ১৩৪৮৩, তিরমিযী ১৬১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫২৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৫৭৬, ইবনু মাজাহ ৩৫৩৭।)

জাহিলী যুগের লোকেরা কোন সফরে বা প্রয়োজনে বের হওয়ার পূর্বে পাখি উড়াত। পাখি যদি উড়ে ডান দিক দিয়ে যেত তবে তারা এটাকে বারাকাত মনে করত। তখন তারা তাদের সফরে বা প্রয়োজনে বের হত। আর পাখি যদি উড়ে বাম দিকে যেত সেটাকে তারা অশুভ লক্ষণ মনে করত এবং তাদের সফর বা প্রয়োজন থেকে না বের হয়ে ফিরে আসত। আর এ কাজ তাদেরকে কল্যাণ থেকে অনেক সময় ধরে বিরত রাখত। এ কারণে শারী‘আত এটা নিষেধ করেছে এবং তা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। আর সংবাদ দিয়েছে যে, উপকার বা অপকার করার মতো কোন ক্ষমতাই তার নেই। আর এটাই হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (لَا طِيَرَةَ)-এর অর্থ। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২২২৩)

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ইমান নষ্ট হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...