আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর।

আমার বয়স ১৯। অবিবাহিত। কলেজে পড়ি। অনলাইন অফলাইনে হারাম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করি।

বিভিন্ন এপ ও ওয়েবসাইটে " সহবাস বিষয়ক "মাসয়ালা মাসায়েল দেয়া থাকে। অনেক সময় মাসায়েল পড়তে গিয়ে এগুলো চোখে পড়ে। এগুলো পড়লে যৌনাকাঙ্ক্ষা জাগে।  মযী বের হয়। বারবার এসব মাসায়েল পড়তে মন চায়।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই বয়সে এগুলো পড়া আমার জন্য ফেতনার কারণ হবে কি?  জায়েজ হবে কি?

বিঃদ্রঃ

 হুজুর, ভালো চাকরি পাওয়ার আগে মা বাবা বিয়ে দিবে না কোনোমতেই। কমপক্ষে ৩০ বছর বয়স  পার হবে এতে। এসব মাসায়েল পড়ে  কি অবিবাহিত জীবনকে আরও কঠিন করে ফেলা হয় কি?

1 Answer

0 votes
by (59,070 points)
edited by
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ
https://ifatwa.info/48118/?show=48118#q48118 উল্ল্যেখ করা  হয়েছে যে, 
পাত্র পাত্রী উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,
তাহলে সেক্ষেত্রে তারা যদি উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।
যদিও তাদের মাতা পিতা কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তারা অনুমতি নাও দিয়ে থাকে। তাদের ঘর সংসার বৈধ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}
তবে যদি মেয়ে গায়রে কুফুতে বিবাহ বসে,তাহলে মেয়ের বাবার জন্য অধিকার থাকবে,আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ ভেঙ্গে দেয়ার।  
বিস্তারিত  জানুনঃ-
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা যদি বাবার মার অমতে/অনুমতি ছাড়া বিবাহ করেন,তাহলে সেই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। আর আপনাদের মাঝে যেহেতু কুফুর সামঞ্জস্যতা রয়েছে,সুতরাং মেয়ের পিতা শরীয়াহ নীতি হিসেবে  আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারবেনা। এই অধিকার শরীয়তের পক্ষ থেকে মেয়ের পিতা পাবেনা।   
উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।
তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব। সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের বিবাহ হয়ে যাবে, তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।
★প্রশ্নের বিবরণ মতে  তাদের অমতে বিয়ে করলে যেহেতু তাদের বৈধ আদেশ মানা হলোনা, তাই বাবা মা ক্ষমা না করলে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিবেন।
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
১. বিবাহের পূর্বে দাম্পত্য জীবন ঘনিষ্ঠ মাসয়ালা জানা আবশ্যক। কিন্তু আপনি যেহেতু এখন বিয়ে করছেন না। বিধায় আপনার জন্য এই সময়ে উক্ত মাসয়ালাগুলি না পড়াই শ্রেয়। কারণ, সেই মাসায়েল জানতে গিয়ে আপনি ফেতনায় জড়িয়ে পড়ছেন। তবে যে ব্যক্তি নিজের ব্যলেন্স রাখতে পারবে এবং ফেতনামুক্ত থাকবে তার জন্য উক্ত মাসায়েল পড়তে কোন সমস্যা নেই।
২. উল্লেখযোগ্য কোন শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া বিয়েতে বিলম্ব করা মোটেও উচিত নয়। আপনার উচিত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অভিভাবককে  বুঝিয়ে সঠিক সময়ে বিয়ে করা। কারণ, ফেতনার এই যুগে নিজের ইমান ও আমল সংরক্ষণ করার মানসে বিয়েতে বিলম্ব করা কোন বু্দ্ধিমান ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...