আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
473 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,আবাসিক হলের বিদ্যুৎ দিয়ে চা/কফি বানানোর জন্য ওয়াটার হিটার দিয়ে পানি গরম করা যাবে কিনা। কাগজে কলমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রায় সব রুমেই রান্না করা হয় এবং রাইস কুকার/বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার করা হয়। হল প্রশাসনের বিষয়টি জানা থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

২,আপ্নারা আমার বিগত প্রশ্নে বলেছিলেন গাইর মুয়াক্কাদা বা মুস্তাহাব নিয়ত ছাড়া করলে সওয়াব পাওয়া যাবেনা। তাহলে অন্যান্য আমল যেমন সুন্নাতে মুয়াক্কাদা,ওয়াজিব,ফরজ,নফল এসবের ক্ষেত্রে নিয়ত ছাড়া অভ্যাস বশত করলে সওয়াব পাওয়া যাবে? যেমন পর্দা করছে এটা ফরজ ভেবে নয়।বরং তার ভাল লাগে,কাউকে দেখাতে ভাল লাগেনা তাই।আল্লাহর হুকুম পালনের নিয়তে করছেনা।এছাড়া অন্যান্য মুয়াক্কাদা ওয়াজিব
৩ কোন কোন ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা জায়েজ? ধরুন আমি একটা বিপদএ পড়েছি (ছিন্তাই কারী বলছে যা যা আছে সব দিতে) এসব ক্ষেত্রে যদি মিথ্যা বলি যে আমার কিছু নাই।সেক্ষেত্রে গুনাহ হবে কি? সহাদীসে বর্নিত ৩ ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যায়, ক্ষেত্র ৩টি ব্যতীয় আর কোনো ক্ষেত্র আছে কি।

৪, যদি এমনহয় মিথ্যা না বললে গোপন পাপ প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে কি করণীয়? ধরুন,কেউ কেউ লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছে,বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী তওবা করেছে,কিন্তু লোকে জিজ্ঞেস করে তোমাদের পরিচয় কিভাবে।তখন সত্য বললে প্রেম করার যিনা যেটা কেউ অনেকেই জান্ত না সেটা প্রকাশ হয়ে যাচ্চজে।


৫,নামাজে আমি 'সামি'আল্লাহু... ' বলার বদল ভুল করে আল্লাহু আকবার বলে রুকু থেকে উঠি।তথখনাত মনে পড়ে কিন্তু শুধুরে নিইনাই। নামাজ শেষে সাহু সিজদাও দেইনাই।এতে কি নামাজ ঠিক হয়েছে?

৬,আমার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে বলছিলাম কবে থেকে পূর্বের তার ফরজ রোযা করা উচিত।ত আমরা ঠিক করে হিসেব করে তাকে ২০১৫ সালের টা আগে করবে।কিন্তু রোযা রাখার আগে সে ভুল করে ভাবে তার পিরিয়ড ২০১১ তে হয়েছে তাই সেখান থেকে রোযা রাখবে।(কথাটা সত্যনা,২০১১ সালে বালেগাই হয়নাই) এটা ভুল করে তার মাথায় ঢুকে যায়। সে এই নিয়তে ২৫ টা রোযা করে,এবং একটা করে রোযা করার পর তা নোট ও করে।

পরে যখন আমি স্মরণ করাই দেই।তখন দেখি এ অবস্থা।সে এখন হতাশ হয়ে গেছে। তার আসলে রোযা করত্ব অনেক কষস্ত হয়।অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয় কারপণ যেখানে থাকে সেটা আসলে একটা নারীর জন্য সুইটেবল জায়গা না। সে হতাশ হয়েছে এই ভেনে যে ভুল নিয়তের কারণে তার সব রোযা নষ্ট হয়ে গেল।আর এমন রোযা হল যখন তার পিরিয়ড শুরুই হয়নাই।রোযা ফরজ হয়নি।

এখন প্রশ্ন তার রোযা গুলো আদতেও ২০১৫ সালের হিসেবে কাউন্ট হবে? নাকি ২০১৫ এর গুলা আবার করতে হবে?যদি কাউন্ট না হয় তাহলে এই ২৫ টা রোযার কি কোনো সওউয়াব পাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আবাসিক হলের বিদ্যুৎ দিয়ে চা/কফি বানানোর জন্য ওয়াটার হিটার দিয়ে পানি গরম করা যাবে না। কাগজে কলমে যেহেতু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের সরাসরি বা মৌন অনুমোদন ব্যতিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না।

(২)আপনারা আমার বিগত প্রশ্নে বলেছিলেন, গাইর মুয়াক্কাদা বা মুস্তাহাব নিয়ত ছাড়া করলে সওয়াব পাওয়া যাবেনা। এছাড়া অন্যান্য আমল যেমন সুন্নাতে মুয়াক্কাদা,ওয়াজিব,ফরজ,নফল এসবের ক্ষেত্রে নিয়ত ছাড়া অভ্যাস বশত করলে সেটারও পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না। 

কেউ যদি পর্দা করে, এটা ফরজ ভেবে নয়।বরং তার ভাল লাগে,কাউকে দেখাতে ভাল লাগেনা তাই।আল্লাহর হুকুম পালনের নিয়তে করেনা।এটারও বিধান পূর্বের মতই।
হ্যা কাজটি শরীয়তের দৃষ্টিতে উত্তম হিসেবে পরিগণিত হবে। 

(৩) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/644

(৪) এমতাবস্থায় প্রশ্নের জবাবকে পাশ কাঠিয়ে যেতে হবে।কোনো উপায় না থাকলে তাওরিয়াহ করবেন।তাওরিয়া হল, আপনি এমনভাবে কথা বলবেন যে, আপনি উদ্দেশ্য নিবেন একটি আর শ্রুতা বুঝবে অন্যটি।

(৫) নামাজে 'সামি'আল্লাহু... ' বলার বদল ভুলে  আল্লাহু আকবার বলে রুকু থেকে উঠলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)
সে যেহেতু ২০১৫ তে বালেগ হয়েছে, তাই তার উচিৎ ছিল, সে ২০১৫ এর কাযা রোযা রাখবেন। সে ২০১১ এর নিয়তে কাযা রোযা রাখার কারণে কাযা আদায় হবে না।সুতরাং তাকে ২০১৫ থেকে আবার কাযা করতে হবে।
لما في الهندية ج١: ص:١٩٦
إذَا وَجَبَ عَلَيْهِ قَضَاءُ يَوْمَيْنِ مِنْ رَمَضَانَ وَاحِدٍ يَنْبَغِي أَنْ يَنْوِيَ أَوَّلَ يَوْمٍ وَجَبَ عَلَيْهِ قَضَاؤُهُ مِنْ هَذَا الرَّمَضَانِ، وَإِنْ لَمْ يُعَيِّنْ الْأَوَّلَ يَجُوزُ، وَكَذَا لَوْ كَانَ عَلَيْهِ قَضَاءُ يَوْمَيْنِ مِنْ رَمَضَانَيْنِ  هُوَ الْمُخْتَارُ، وَلَوْ نَوَى الْقَضَاءَ لَا غَيْرُ يَجُوزُ، وَإِنْ لَمْ يُعَيِّنْ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ. 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...