ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১+২)
ডারউইনের বিবর্তনবাদ কে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না এবং করবেও না। মানুষের বেলায়ও এবং মানুষ ব্যতিত অন্যান্য প্রাণীর বেলায়ও। মানুষ ও সকল প্রকার প্রাণীকে আল্লাহ তৈরী করেছেন।
(৩)
মানুষের হারাম আয়ের আধিক্য ও তথা কথিত সফলতা দেখে কেও যদি বলে '' আজকাল হারামে বরকত" যদি সে ইসলাম অস্বীকার বা বিদ্রুপ করার নিয়তে বলে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। নতুবা সে কাফির হবে না।
(৪)
হালাল পশুর প্রবাহমান রক্ত ব্যতীত আরো কিছু অংশ আছে যাকে কেও হারাম কেও মাকরুহ বলেন?
আসলেই এগুলোর বিধান বর্ণনাতে উলামের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে।হারাম হোক বা মাকরুহ হোক, সর্বাবস্থায়ই সেটা পরিত্যাক্ত।
এগুলো মাকরুহ /হারাম বললে ইমানে সমস্যা হবে না।
(৫) কোনো এক বিষয় নিয়ে আজ বউ বলছে যে, "তোমার এই অভ্যাসের জন্য আল্লাহ আইয়া তোমারে এইখানে ফালাইছেন" তখন আমি বলি " আল্লাহ আইন্না ফালাইছেন" তখন সে বলে হ্যা এইটাই, তখন বলি তোমার মুখে " আল্লাহ আইয়া শুনে অবাক হয়েছি" তখন বলে ভুলে লিখেছে।
এজন্য ওর ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।তাকে এই লিখা নিয়ে আর জিগ্যাসাবাদ করার কোনো দরকার নাই।
(৬) উক্ত কথা যদি ভুলে না বলে স্বাভাবিক ভাবে বলতো তবেও সে কাফের হয়ে যেতো না। কেননা ঈমানদের অন্তরে এটা বদ্ধমূল রয়েছে যে, আল্লাহ কখনো বান্দার জন্য বান্দার বাড়ীতে আসেননা।
(৭) আজকে একজনের কথা আলাপ করার সময় সে চলে আসে। তখন আমার বউ আমাকে বলে উনার অনেক হায়াত, আমি বলি এসব বলবা না, সে হ্যা সুচক জবাব দিয়ে বলে মানুষ বলে, তাই সেও বলেছে, জানে এসব কুসংস্কার। এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করলে ইমানে সমস্যা হবে না।তবে যেহেতু আপনার স্ত্রী না জেনে করেছে,তাই তার কোনো সমস্যা হবে না।