আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)

১.মানুষ ব্যতীত অন্য প্রানীর ক্ষেত্রে ডারউইন এর বিবর্তনের বিধান সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
(বিস্তারিতঃ আদম(আঃ) ও হাওয়া(আঃ)  এর থেকে  বংশানুক্রমে আল্লাহর হুকুমে মানুষের বিস্তৃতি এটা সকল মুসলমান মানি, কিন্তু কেও যদি প্রানীদের ক্ষেত্রে বলে যে" এইগুলো বিবর্তিত হয়ে এসেছে,যেমনঃ বিড়াল বাঘ থেকে, কুকুর নেকড়ে থেকে, মুরগি ডায়নাসর থেকে, বানর ইগল থেকে ইত্যাদি " তার ক্ষেত্রে কি বিধান, এরকরম বিশ্বাস এর সুযোগ আছে কি?

২. এতো প্রানীর উতপত্তি ও তাদের এতো প্রজাতির উৎপত্তি সম্পর্কে কোরআন-হাদীসের আলোকে কি জানা যায়?

৩. মানুষের হারাম আয়ের আধিক্য ও তথা কথিত সফলতা দেখে কেও যদি বলে '' আজকাল হারামে বরকত" তবে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৪. হালাল পশুর প্রবাহমান রক্ত ব্যতীত আরো কিছু অংশ আছে যাকে কেও হারাম কেও মাকরুহ বলেন? আসলে এগুলো কি? এগুলো মাকরুহ /হারাম বললে কি ইমানে সমস্যা হবে?

৫. কোনো এক বিষয় নিয়ে আজ বউ বলছে যে,  "তোমার এই অভ্যাসের জন্য আল্লাহ আইয়া তোমারে এইখানে ফালাইছেন"  তখন আমি বলি " আল্লাহ আইন্না ফালাইছেন" তখন সে বলে হ্যা এইটাই, তখন বলি তোমার মুখে " আল্লাহ আইয়া শুনে অবাক হয়েছি"  তখন বলে ভুলে লিখেছে। তার ফলে কি ওর ইমানে সমস্যা হবে? তাকে এই লিখা নিয়ে আর জিগ্যাসাবাদ করা দরকার? 

৬.  উক্ত কথা যদি ভুলে না বলে স্বাভাবিক ভাবে বলতো তবে কি সে কাফের হয়ে যেতো? "আল্লাহ  আইয়া তোমারে এখানে ফালাইছেন" বলার কারণে? 

৭. আজকে একজনের কথা আলাপ করার সময় সে চলে আসে। তখন আমার বউ আমাকে বলে উনার অনেক হায়াত, আমি বলি এসব বলবা না, সে হ্যা সুচক জবাব দিয়ে বলে মানুষ বলে দেকে বলেছে ও জানে এসব কুসংস্কার।  এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করলে কি ইমানে সমস্যা হয়? আমার বউ এর কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১+২)
ডারউইনের বিবর্তনবাদ কে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না এবং করবেও না। মানুষের বেলায়ও এবং মানুষ ব্যতিত অন্যান্য প্রাণীর বেলায়ও। মানুষ ও সকল প্রকার প্রাণীকে আল্লাহ তৈরী করেছেন। 

(৩)
মানুষের হারাম আয়ের আধিক্য ও তথা কথিত সফলতা দেখে কেও যদি বলে '' আজকাল হারামে বরকত" যদি সে ইসলাম অস্বীকার বা বিদ্রুপ করার নিয়তে বলে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। নতুবা সে কাফির হবে না।

(৪)
হালাল পশুর প্রবাহমান রক্ত ব্যতীত আরো কিছু অংশ আছে যাকে কেও হারাম কেও মাকরুহ বলেন? 
আসলেই এগুলোর বিধান বর্ণনাতে উলামের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে।হারাম হোক বা মাকরুহ হোক, সর্বাবস্থায়ই সেটা পরিত্যাক্ত। 
এগুলো মাকরুহ /হারাম বললে ইমানে সমস্যা হবে না।

(৫) কোনো এক বিষয় নিয়ে আজ বউ বলছে যে,  "তোমার এই অভ্যাসের জন্য আল্লাহ আইয়া তোমারে এইখানে ফালাইছেন"  তখন আমি বলি " আল্লাহ আইন্না ফালাইছেন" তখন সে বলে হ্যা এইটাই, তখন বলি তোমার মুখে " আল্লাহ আইয়া শুনে অবাক হয়েছি"  তখন বলে ভুলে লিখেছে। 

এজন্য ওর ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।তাকে এই লিখা নিয়ে আর জিগ্যাসাবাদ করার কোনো দরকার নাই।

(৬) উক্ত কথা যদি ভুলে না বলে স্বাভাবিক ভাবে বলতো তবেও সে কাফের হয়ে যেতো না। কেননা ঈমানদের অন্তরে এটা বদ্ধমূল রয়েছে যে, আল্লাহ কখনো বান্দার জন্য বান্দার বাড়ীতে আসেননা।

(৭) আজকে একজনের কথা আলাপ করার সময় সে চলে আসে। তখন আমার বউ আমাকে বলে উনার অনেক হায়াত, আমি বলি এসব বলবা না, সে হ্যা সুচক জবাব দিয়ে বলে মানুষ বলে, তাই সেও বলেছে, জানে এসব কুসংস্কার।  এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করলে ইমানে সমস্যা হবে না।তবে যেহেতু আপনার স্ত্রী না জেনে করেছে,তাই তার কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
edited
মুফতি সাহেব,  একটু যদি কনফিউশান দূর করতেন।

(৩) আমি প্রায় ৭/৮ বছর আগে আমার বাবাকে এমনটা বলতে শুনেছিলাম, ১০০% শিওর না, তবে ৯০% শিওর উনি এভাবে বলেছিলেন। এমনিতো মনে হয় না উনি ইসলামকে অস্বীকার বা বিদ্রুপের নিয়তে বলবেন, বললে কষ্ট থেকে হয়তো বলেছিলেন। উনাকে কি এই বিষয়ে কিছু জিগ্যেস করা জরুরী? উনার মনে আছে কিনা কে জানে।

(৭) 
আমার বউ জানে এগুলো কুসংস্কার,  তবে এমনিই বলে ফেলেছে আরকি, কুসংস্কার জেনেই এমনটি বলেছে এতে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...