ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি স্বামী চায় স্ত্রী তাকে খাইয়ে দেউক। না খাইয়ে দিলে স্বামীর অসন্তোষ আসতে পারে,তাহলে তখন স্ত্রী তার স্বামীকে খাইয়ে দিবে।
কোমরের বিছা,পায়ের আংটি ইত্যাদি অলংকার যদি স্বামী তার স্ত্রীকে কিনে এনে দেয়, স্বামী অখুশি হয় না পড়লে, তাহলে এমতাবস্থায় শুধুমাত্র স্বামীর সামনে পরিধান করার রুখসত রয়েছে। তবে লোকসম্মুখে পরিধান করা যাবে না।
স্ত্রীর পায়ের আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু মুখে নিয়ে আদর করতে চাইলে স্ত্রী তার স্বামীকে করতে দিতে হবে। না করলে স্বামীর অসন্তুষ্টি আসতে পারে, তাই স্ত্রীর গুনাহ হবে।
মিলনের সময়ে উস্তাদ স্বামীর বলার পরে হিজাব পরা না থাকে স্ত্রীর আর স্বামী অখুশি হলে স্ত্রীর এতে গুনাহ হবে না।
স্বামী যদি স্ত্রীকে রঙিন বোরখা কালোর বদলে আর মুখ ঢেকেই হিজাব পড়তে বাইরে নিকাবের বদলে, পরপুরুষ আকৃষ্ট হয় এমন না মানে নীল, লাল, কমলা বেগুনি ইত্যাদি এক রঙের এগুলো স্বামী এনে দেয়, তা স্ত্রীর পরিধান করা জায়েয হবে না।
মিলনের সময়ে যদি স্বামী স্ত্রীর বুকের দুধ খাওয়ার ব্যাপারে যেটা বললেন উস্তাদ, সেখানে স্ত্রী যদি খেতে বাঁধা দেয় আর স্বামী নারাজ হয় তাহলে, এতে স্ত্রীর গুনাহ হবে না।
স্বামী স্ত্রীর ফোন ফেসবুক দেখতে চাইলে স্ত্রীর তা দেখতে দিতে হবে কিনা, মানে এটি স্ত্রী স্বামীকে ফোন দেখতে না দিলে স্বামীর অবাধ্যতার গোনাহ হবে।
"স্বামী স্ত্রীর নাভিতে, নিতম্বে চুম্বন করতে, লেহন করতে চাইলে স্ত্রীর জন্য বাধা দেওয়া উচিৎ না।" বলেছেন। মানে কি স্ত্রী যদি এতে বাঁধা দেয় আর স্বামী রাগ হয় তাহলে যদি স্ত্রীর গুনাহ হবে না। তবে স্বামীর অবাধ্যতা অবশ্যই হবে।
স্বামী যদি স্ত্রীর যোনীতে সহবাসের আগে চুম্বন করতে চায়, স্ত্রীকে স্বামীর অণ্ডকোষে হাত বুলিয়ে দিতে, মাঝে মধ্যে তার শৃঙ্গালের সময় চুম্বন করতে বলে, সে ব্যাপারে স্ত্রীর অংশগ্রহণ উচিৎ হবে না।বরং মাকরুহ হবে। হ্যা, স্বামী ভিন্ন মাজহাবের তাই উনাদের দিক থেকে এটি হারাম না হলে, স্ত্রী অংশ নিতে পারবে।
"যে সমস্ত বিষয় স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক এবং স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর নয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ অনুসরণ স্ত্রীর উপর ওয়াজিব।যদি স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক না হয় বা স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর হয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ নিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়। স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) স্বামীর আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ স্বামী দিবে,এতে তার ফায়দা থাকতে হবে,রবা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩) যে কাজের আদেশ স্বামী দিচ্ছে, তা তার স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।"
জ্বী, এগুলো মুবাহ।