আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান উস্তাদ। আগের কয়েকটি বিষয়ে আরেকটু জানার ছিল।

- বায়না বলতে উস্তাদ যদি স্বামী চায় স্ত্রী খাইয়ে দেক। না খাইয়ে দিলে স্বামীর অসন্তোষ আসলে স্ত্রীর করণীয় কি

- আর উস্তাদ ঐযে কোমরের বিছা,পায়ের আংটি ইত্যাদি অলংকারের বেলায় যদি স্বামী কিনে এনে দেয় স্ত্রীকে,  স্বামী অখুশি হয় না পড়লে, স্ত্রী না পড়লে কি গুনাহ হবে কিনা?

-  স্ত্রীর পায়ের আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু মুখে নিয়ে আদর করতে চাইলে স্ত্রীর কি তা স্বামীকে করতে দিতে হবে কিনা, মানে না করলে স্বামীর অসন্তুষ্টি আসে, তাই স্ত্রীর গুনাহ হবে কিনা?

- মিলনের সময়ে উস্তাদ স্বামীর বলার পরে হিজাব পরা না থাকে স্ত্রীর আর স্বামী অখুশি হলে কি স্ত্রীর এতে গুনাহ হবে?

- স্বামী যদি স্ত্রীকে রঙিন বোরখা কালোর বদলে আর মুখ ঢেকেই হিজাব পড়তে বাইরে নিকাবের বদলে, পরপুরুষ আকৃষ্ট হয় এমন না মানে নীল, লাল, কমলা বেগুনি ইত্যাদি এক রঙের এগুলো স্বামী এনে দেয়, তা কি স্ত্রীর পরিধান করতে হবে কিনা মানে তা না করলে স্বামী অখুশি হলে স্ত্রীর গুনাহ হবে কিনা?

- মিলনের সময়ে যদি স্বামী স্ত্রীর বুকের দুধ খাওয়ার ব্যাপারে যেটা বললেন উস্তাদ, সেখানে স্ত্রী যদি খেতে বাঁধা দেয় আর স্বামী নারাজ হয় তাতে, এতে স্ত্রীর গুনাহ হবে কিনা উল্লিখিত অবস্থায়?

- আরেকটা বিষয় যেটা উস্তাদ, স্বামী স্ত্রীর ফোন ফেসবুক দেখতে চাইলে স্ত্রীর তা দেখতে দিতে হবে কিনা, মানে এটি স্ত্রী স্বামীকে ফোন দেখতে না দিলে গুনাহ হবে কিনা স্বামীর নফরত আসলে

- উস্তাদ আপনাদের আরেকটি উত্তরে দেখেছি যে, "স্বামী স্ত্রীর নাভিতে, নিতম্বে চুম্বন করতে, লেহন করতে চাইলে স্ত্রীর জন্য বাধা দেওয়া উচিৎ না।" বলেছেন। মানে কি স্ত্রী যদি এতে বাঁধা দেয় আর স্বামী রাগ হয় তাতে কি স্ত্রীর গুনাহ হবে কিনা? আর উস্তাদ স্বামী যদি স্ত্রীর যোনীতে সহবাসের আগে চুম্বন করতে চায়, স্ত্রীকে স্বামীর অণ্ডকোষে হাত বুলিয়ে দিতে, মাঝে মধ্যে তার মত শৃঙ্গালের সময় চুম্বন করতে বলে, সে ব্যাপারে স্ত্রীর অংশ  নিতে হবে কিনা কারণ যেহেতু স্বামী ভিন্ন মাজহাবের তাই উনাদের দিক থেকে এটি হারাম নয়।

- আরেকটি জায়গায় দেখেছি, "যে সমস্ত বিষয় স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক এবং স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর নয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ অনুসরণ স্ত্রীর উপর ওয়াজিব।যদি স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক না হয় বা স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর হয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ নিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়। স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।

(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।

(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।

(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তার স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।"

মূলত এটা জানার ছিল উস্তাদ যে এইযে উপরের বিষয়গুলো, এগুলো এই মুবাহের মধ্যে পড়ছে কিনা? হারাম বা ওয়াজিব তরক হচ্ছে না, স্বামীর ফায়দা আছে আর স্ত্রীর জন্য ক্ষতি হবে না তা বোঝা যাচ্ছে। যদি মুবাহের মধ্যে পড়ে তাহলে কি স্ত্রীর স্বামীর মনের এহেন খোরাকগুলো পূরণ স্ত্রীর কর্তব্য কিনা

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 যদি স্বামী চায় স্ত্রী তাকে খাইয়ে দেউক। না খাইয়ে দিলে স্বামীর অসন্তোষ আসতে পারে,তাহলে তখন স্ত্রী তার স্বামীকে খাইয়ে দিবে।

কোমরের বিছা,পায়ের আংটি ইত্যাদি অলংকার যদি স্বামী তার স্ত্রীকে কিনে এনে দেয়, স্বামী অখুশি হয় না পড়লে, তাহলে এমতাবস্থায় শুধুমাত্র স্বামীর সামনে পরিধান করার রুখসত রয়েছে। তবে লোকসম্মুখে পরিধান করা যাবে না।

স্ত্রীর পায়ের আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু মুখে নিয়ে আদর করতে চাইলে স্ত্রী তার স্বামীকে করতে দিতে হবে। না করলে স্বামীর অসন্তুষ্টি আসতে পারে, তাই স্ত্রীর গুনাহ হবে। 

মিলনের সময়ে উস্তাদ স্বামীর বলার পরে হিজাব পরা না থাকে স্ত্রীর আর স্বামী অখুশি হলে স্ত্রীর এতে গুনাহ হবে না।

স্বামী যদি স্ত্রীকে রঙিন বোরখা কালোর বদলে আর মুখ ঢেকেই হিজাব পড়তে বাইরে নিকাবের বদলে, পরপুরুষ আকৃষ্ট হয় এমন না মানে নীল, লাল, কমলা বেগুনি ইত্যাদি এক রঙের এগুলো স্বামী এনে দেয়, তা স্ত্রীর পরিধান করা জায়েয হবে না। 

মিলনের সময়ে যদি স্বামী স্ত্রীর বুকের দুধ খাওয়ার ব্যাপারে যেটা বললেন উস্তাদ, সেখানে স্ত্রী যদি খেতে বাঁধা দেয় আর স্বামী নারাজ হয় তাহলে, এতে স্ত্রীর গুনাহ হবে না।

স্বামী স্ত্রীর ফোন ফেসবুক দেখতে চাইলে স্ত্রীর তা দেখতে দিতে হবে কিনা, মানে এটি স্ত্রী স্বামীকে ফোন দেখতে না দিলে স্বামীর অবাধ্যতার গোনাহ হবে।


"স্বামী স্ত্রীর নাভিতে, নিতম্বে চুম্বন করতে, লেহন করতে চাইলে স্ত্রীর জন্য বাধা দেওয়া উচিৎ না।" বলেছেন। মানে কি স্ত্রী যদি এতে বাঁধা দেয় আর স্বামী রাগ হয় তাহলে যদি স্ত্রীর গুনাহ হবে না। তবে স্বামীর অবাধ্যতা অবশ্যই হবে।


স্বামী যদি স্ত্রীর যোনীতে সহবাসের আগে চুম্বন করতে চায়, স্ত্রীকে স্বামীর অণ্ডকোষে হাত বুলিয়ে দিতে, মাঝে মধ্যে তার শৃঙ্গালের সময় চুম্বন করতে বলে, সে ব্যাপারে স্ত্রীর অংশগ্রহণ উচিৎ হবে না।বরং মাকরুহ হবে।  হ্যা, স্বামী ভিন্ন মাজহাবের তাই উনাদের দিক থেকে এটি হারাম না হলে, স্ত্রী অংশ নিতে পারবে।


 "যে সমস্ত বিষয় স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক এবং স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর নয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ অনুসরণ স্ত্রীর উপর ওয়াজিব।যদি স্বামীর জন্য ফায়দাদায়ক না হয় বা স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকর হয়,সে সমস্ত বিষয়ে স্বামীর আদেশ নিষেধের অনুসরণ ওয়াজিব নয়। স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।

(১) স্বামীর আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।

(২)যে কাজের আদেশ স্বামী দিবে,এতে তার ফায়দা থাকতে হবে,রবা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।

(৩) যে কাজের আদেশ স্বামী দিচ্ছে, তা তার স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।"

জ্বী, এগুলো মুবাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...