আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
১। সর্দির লাগার কারনে নামাজরত অবস্থায় সর্দির পানি বের হয়ে আসতে চায়(বিশেষ করে লম্বা সিজদাহ্ অবস্থায়)।নামাজরত অবস্থায় বা সেজদাহ থেকে উঠে রুমাল বা কাপড় দিয়ে নাক মুছা বা সর্দি পরিষ্কার করা যাবে কি?

২। যোহরের নামাজ শেষ করে এসে দুপুরের খাবার এর পর ঘুমালে প্রায় এশা ওয়াক্ত (জামাতের সময়)হয়ে যায়। তাহলে আগের দুই ওয়াক্ত কিভাবে আদায় করব এবং এশার পরে আদায় করলে কি আযান ইকামত জোরে ক্বিরাত জোরে তাকবির দিয়ে পরতে হবে? ক্বাযা নামাজ পরার নিয়ম কি?

৩। রমজান মাস ব্যতীত বাকী দিন গুলোতে মাগরিবের আযান ওয়াক্ত শুরু হওয়ার অনেক পরে দেয়, তাহলে বাকী দিন গুলো সুন্নাহ বা নফল রোজার ইফতার কি স্মার্ট ফোনের বিভিন্ন ইসলামি আপ্যস এ সময় দেখে করা যাবে নাকি অপেক্ষা করতে হবে আযানের জন্য?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم  


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে কফ পাক। 
নামাজের সময় যদি কফ চলে আসে, তাহলে তাহা পকেটে টিস্যু থাকলে সেটা টিস্যুতে রেখে দিবেন অথবা কফ গিলে ফেলতে পারেন, দুটোই তার জন্য জায়েজ রয়েছে। কাপড়েও মুড়ে রেখে দিতে পারেন।
কিন্তু সে থুতু পশ্চিম দিকে বা কেবলার দিকে ফেলবেন না।

বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".

কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।
সহীহ : বুখারী ৪০৫, সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

নামাজে মধ্যে যদি কাহারো কফ চলে আসে,তাহলে তাহা গিলে ফেলা সম্ভব হলে গিলে ফেলবে।
অন্যথায় কাপড়ের কোণায় থুথু নিবে।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানী ৩/২০২)

عمدة القاری 
"من ابتلع ريقه إعظاما للمسجد ولم يمح اسما من أسماء اتعالى ببزاق كان من خيار عباد الله ۔"
(کتاب الصلاۃ،باب حک البزاق بالید من المسجد149/4 ط:دار احیاء التراث العربی)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি থথু,কফ গিলে ফেলে,মসজিদের সম্মানার্থে,,,,, তাহলে তাহা আল্লাহর ইখতিয়ারধীন।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ অবস্থায় রুমাল বা কাপড় দিয়ে নাক মুছা বা সর্দি পরিষ্কার করা যাবে।

তবে সেজদাহ রত অবস্থায় থাকলে সেজদাহ থেকে উঠা যাবেনা।
সেজদাহ-তে থেকেই নাক মুছতে হবে।
প্রয়োজনে কপাল জমিনে রেখে সামান্য সময়ের জন্য নাক উঁচু করা যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে ইশার নামাজ পড়ার আগেই আসর আর মাগরিবের ফরজ নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

এভাবে জোহরের পর ঘুমালে নামাজ কাজা হলে ঘুমানো কোনোভাবেই উচিত হবেনা।
এভাবে মনে মনে নিয়ত করবেন যে আমি আজকের আসরের নামাজের কাজা আদায় করছি।
অথবা আজকের মাগরিবের নামাজের কাজা আদায় করছি।

ویخافت المنفرد حتما ای وجوبا ان قضی الجھر یۃ فی وقت المخافتۃ کان صلی العشاء بعد طلوع الشمس۔ (ردالمحتار، فصل فی القراءۃ 1/533)
সারমর্মঃ-
একাকী নামাজ আদায় কারী যদি জোড়ে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজের কাজা আস্তে কিরাআত নামাজের ওয়াক্তে আদায় করে,তাহলে আস্তে কিরাআত পাঠ করা ওয়াজিব।

★সুতরাং জোড়ে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজের কাজা যদি রাতে আদায় করা হয়,সেক্ষেত্রে জোড়ে কিরাআত পাঠ করা বা আস্তে কিরাআত পাঠ করা উভয়টির অনুমতি রয়েছে।
বিষয়টি বান্দার ইচ্ছাধীন।

তবে দিনের বেলা জোড়ে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজের কাজা আদায় করা হলে আস্তে কিরাআত পাঠ করতে হবে। 

আর আস্তে কিরাআত বিশিষ্ট নামাজ (জোহর,আছর) এর কাজা রাতে হোক বা দিনের বেলা হোক, যখনই আদায় করা হোক,আস্তে কিরাআত পাঠ করতে হবে। 

★সব ছুরতেই তাকবির আস্তে বলা জোড়ে বলার ক্ষেত্রে আপনার ইখতিয়ার রয়েছে। 
আপনি চাইলে জোড়ে তাকবির বলতে পারেন,চাইলে আস্তে তাকবির বলতে পারেন।
,

(০৩)
সেই App গুলো গ্রহনযোগ্য হলে সেটা অনুযায়ী ইফতারী করা যাবে।
আযানের জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা।

এক্ষেত্রে ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করে নিজে জেলার টাইম ঠিক করে ইফতার করাটা সহজ ও সঠিক পদ্ধতি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...