আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামুআলাইকুম

আমি কিছু বাচ্চাদের কুরআন পড়াই বয়স ৯,১০,১ 4
এমন।ওদের নামাজের জন্য ৪০ দিন চ্যালেন্জ দিয়েছেলাম।ওই সময় কিছু পড়েছিলেন বাট এখন আাবর ছেড়ে দিয়েছেন।ওদের কীভাবে অভস্ত করাতে পারি।আর ১০ বছরের কম বাচ্চাদের নামাজের জন্য কোনো শাস্তি দিলে আমার গোনাহ হবে কিনা।


আর শুধু নামাজ পড়েছো পরেছো জিগ্যেসে যদি ওদেট রুয়া চলে আসে। এাট কি ঠিক হবে?

বাচ্চারা তো  মাসুম তাহলে বাচ্চাের গোনাহ লিখা হয় কত বছর বয়স থেকে?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)

হযরত সামুরাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﺒﺮﺓ ﺑﻦ ﻣﻌﺒﺪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﺳﺒﻊ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﻔﺮﻗﻮﺍ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺷﻬﻢ ﻭ ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻐﻮﺍ ﻋﺸﺮ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﺎﺿﺮﺑﻮﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন তোমাদের সন্তানাদি সপ্তম বৎসরে উপনীত হবে তখন তোমরা তাদের বিছানাকে পৃথক করে দাও।এবং যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হবে তখন নামাযের জন্য তোমরা তাদেরকে প্রহার করো। (সহীহুল জামে-৪১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/757

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
দশ বছরের পূর্বে নামাযের জন্য প্রহার করা যাবে না।বরং প্রহার করার ব্যতিত যাবতীয় চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে। দশ বছরের পূর্বে সন্তান যদি এমন হয় যে, তাকে দেখতে দশের অধিক মনে হয়, তাহলে তাকে নামাযের জন্য প্রহার করা যাবে।নতুবা দশের পূর্বে প্রহার করা যাবে না, করলে প্রহারকারীকে জবাবদিহিতা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (606,750 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
...