আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (41 points)
edited by
Asslamualikum wa rohmatullohi wa Barokatuh
১.আমার ফ্রেন্ড এর মা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেন। এই স্কুল টাতে প্রফিডেন্ট ফান্ড রয়েছে। এই ফা্ন্ড টা এমন যে স্কুলে যারা চাকরি করেন তাদের এই ফান্ড এ টাকা দিতে হবে এবং সরকার এই ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দেয়। এখন আমার ফ্রেন্ড এর মার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মতো সুদ এসেছে। এখন এই ফান্ড এ টাকা  রাখা কি বাধ্যতামূলক কিনা সেইটা ওর মা শিউর বলতে পারতেছেন না ( যদি এই টাকা দেওয়ার এমাউন্ট টা কমাইতে হয় তাহলে অনেক দৌড়াদোড়ি করা লাগবে যা ওনার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যায়।) এখন এভাবে যে ফান্ড এ টাকা দিতে হচ্ছে  এইটা কি গুনাহ? যদি গুনাহ হয় কীভাবে এইটা থেকে বাচবে? এবং সরকার যে টাকা দিচ্ছে এইটা কি সুদের অন্তর্ভুক্ত?  আর যদি সুদ হয়,সুদের ওপর  তাহলে কি যাকাত দিতে হবে? যদি একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলতেন আগের প্রশ্নোত্তর তে এইটার উত্তর বুঝি নি।

২.আমার ফ্রেন্ড এর হায়েজ 10 দিন ছিল। তারপর  ওর ফজরের সময় সাদা স্রাব গিয়েছিল,তারপর আসরের সময় আবার গিয়েছিল ওযু করার সময় তারপর ও আবার ওযু করেছিল। ইশার নামাযের সময় আবার ওযু যখন করছিল তখন যাচ্ছিল কিন্তু ও আবার ওযু করে নিই। এখন ওর এমন অনির্দিষ্ট ভাবে যায়,,, ওর কি ইশার নামাযের সময় ওযু হয়েছিল?নাকি আবার পড়তে হবে?এখন ওর যে এমন অনির্দিষ্ট ভাবে যায় ওর কি বারবার ওযু করতে হবে নাকি একবার করলেও হবে যদিও স্রাব যায়?

৩.এখন আমরা যারা জেনারেলে পড়ছি, অনেক প্রাইভেটের টাইম নামাযের টাইমে দেয়া। যেমন আমার বোনের একটা প্রাইভেট মাগরিবের টাইমে(৫ টা থেকে ৬টা) দেয়া এখন যখন প্রাইভেট ছুটি হয় বাসায় আসতে ৬ঃ৩০বেজে যায়। প্রাইভেট যেখানে পড়ে সেখানে নামাযের নাকি ব্যবস্থা নেই বা হয়তো থাকলেও কোনো পুরুষ হয়তো দেখে ফেলবে(আমি শিউর না)।এখন সেক্ষেত্রে নামায পড়ার জন্য বেন্ঞ্চে বসে নামায পড়ে তাহলে কি নামায আদায় হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনার ফ্রেন্ডের মায়ের যদি প্রভিডেন্ট ফান্ডটি অপশনাল হয়, তাহলে উনার জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা দেওয়া জায়েয হবে না, এর জন্য কষ্ট হলেও তিনি কষ্ট করে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা না দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। বর্তমানে যেই টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রয়েছে, সেই টাকার মধ্যে মূলধন যা হবে, সেই মূলধন এবং হাতে অবশিষ্ট টাকা সব মিলিয়ে যদি যাকাতের নেসাব পরিমাণ হয়, তাহলে অবশ্যই তাতে যাকাত আসবে। নতুবা তাতে যাকাত আসবে না। মূলধন ব্যতিত অতিরিক্ত যত টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকবে, সেগুলোকে সদকাহ করতে হবে।

(২)
সাদাস্রাব যাওয়ার পর যদি আর কোনো রক্তস্রাব না আসে, তাহলে উনি পবিত্র হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে।

(৩)
পড়া শোনার জন্য নামাযকে ত্যাগ করা যাবে না। এমন প্রাইভেট খুজতে হবে, যেখানে নামায ঠিক সময়ে পড়া যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...