ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড
প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা-
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনার ফ্রেন্ডের মায়ের যদি প্রভিডেন্ট ফান্ডটি অপশনাল হয়, তাহলে উনার জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা দেওয়া জায়েয হবে না, এর জন্য কষ্ট হলেও তিনি কষ্ট করে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা না দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। বর্তমানে যেই টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রয়েছে, সেই টাকার মধ্যে মূলধন যা হবে, সেই মূলধন এবং হাতে অবশিষ্ট টাকা সব মিলিয়ে যদি যাকাতের নেসাব পরিমাণ হয়, তাহলে অবশ্যই তাতে যাকাত আসবে। নতুবা তাতে যাকাত আসবে না। মূলধন ব্যতিত অতিরিক্ত যত টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকবে, সেগুলোকে সদকাহ করতে হবে।
(২)
সাদাস্রাব যাওয়ার পর যদি আর কোনো রক্তস্রাব না আসে, তাহলে উনি পবিত্র হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে।
(৩)
পড়া শোনার জন্য নামাযকে ত্যাগ করা যাবে না। এমন প্রাইভেট খুজতে হবে, যেখানে নামায ঠিক সময়ে পড়া যায়।