জবাবঃ-
হানাফি মাযহাব মতে
বিতির নামাযকে কা'যা করা ওয়াজিব।যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
فى تنوير الأبصار- وكذا حكم الوتر
وقال ابن عابدين، لأنه فرض عملى عنده (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-2/73، سعيد)
মসজিদের বা জনসম্মুখে বিতিরকে কা'যা করলে হাতু উত্তোলন করে কুনুত করা যাবে না।
যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে-
أما في القضاء عند الناس فلا يرفع حتى لا يطلع أحد على تقصيره. اه
বিতিরের নামাযকে যদি মসজিদে বা জনসম্মুখে কা'যা করা হয়,তাহলে কুনুতের সময় তাকবীর অবশ্যই বলা যাবে, তবে হাত উত্তোলন করা যাবে না।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
، قالت أمّ المؤمنين عائشة -رضي الله عنها- أنّ النبيّ صلّى الله عليه وسلّم: (كان إذا غلبه نومٌ أو وجَعٌ عن قيامِ الليلِ صلَّى من النهارِ ثِنتي عشرةَ ركعةً)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যখন বেশ ঘুম চলে আসতো বা শারিরিক ক্লান্তি কারণে কিয়ামুল লাইল করতে পারতেন না তখন দিনে বার রা'কাত নামায পড়ে নিতেন।(সহীহ মুসলিম-৭৪৬)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى رجل يقضي الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع
ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না?তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে।অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময় বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।আর যদি বিতির না হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল হিসেবে গণ্য হবে।নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার অতিতের নামায ফাসিদ হয়নি।তবে আপনাকে বিতিরের নামায কা'যা করতে হবে।এবং বিতিরের নামায কা'যা করাই ওয়াজিব।