জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছে,
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)
বিস্তারিত জানুন-
মু'মিন একটি মুহুর্তও অযথা কাটাবে না।বরং সর্বদাই আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকবে।নামায পড়বে,কুরআন তিলাওয়াত করবে,নয়তো যিকির করবে।যদি ইবাদত করতে করতে মন ক্লান্ত হয়ে যায়,তখন মনকে উৎফুল্ল করতে বৈধ বিনোধনের ব্যবস্থা শরীয়তে রয়েছে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ফুটবল খেলায় বাদ্য-বাজনার ব্যবহার হয়,অনেক সময় মহিলাদের দেখানো হয়,খেলোয়াড়দের সতর দেখা যায়,এই খেলার নেশায় অনেকে ইবাদত থেকে গাফেল থাকে,এটি নামাজ ইত্যাদিতেও স্বরন আসে,হারাম এই খেলায় নিজ দল জিতলে অন্তর খুশি হয়,হারলে অন্তরে ব্যাথা লাগে, সর্বপরি জুয়ার ভিত্তিতে এই খেলা দেখা সেটিকে সমর্থন ও সহযোগিতা বুঝায়।
তাই খেলা দেখা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
এই ভিত্তিতে কোনো দেশকে সাপোর্ট করাও জায়েজ নেই।
এবারের বিশ্বকাপ মুসলিম দেশে হচ্ছে,এই অজুহাতে খেলা দেখা জায়েজ হতে পারেনা।
আরো জানুনঃ-