বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি পিকনিকের টির্শাট এর জন্য একটি স্টিকার ডিজাইন করে দিয়েছেন।
এখন কথা হলো আপনাদের যেকজনকে পিকনিকের আয়োজনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়,তাদের কেউ কি নিজ কাজ করে টাকা নিয়েছে বা এটি বলা আছে যে এই সমস্ত দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার জন্য আপনারা টাকা পাবেন?
যদি আপনারা আপনাদের শ্রমের বিনিময় পাবেন,এমনটি আপনি যে বিভাগে পড়াশোনা করেন, সে বিভাগ থেকে বলে দেয়া থাকে,সেক্ষেত্রে তো আপনি পারিশ্রমিক হিসেবে উক্ত টিশার্ট নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু যদি আপনাদের পারিশ্রমিক বাবদ কিছু দেয়ার কথা উল্লেখ না থাকে,বরং আপনাদের মেহনতটা যদি সম্পূর্ণ ফ্রী হয়,আর আপনারা সকলেই সন্তুষ্টি চিত্তে ফ্রি হিসেবেই শ্রম দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এই টিশার্ট উক্ত বিভাগের যারা যারা টাকা দিয়েছে,তাদের সকলের অনুমতি ছাড়া গ্রহন করা জায়েজ হবেনা।
গ্রহন করলে সেই টিশার্ট এর টাকা তাদেরকে দিয়ে দিতে হবে।
এটি সদকাহ নয়,বরং তাদেরকেই ফেরত দিতে হবে।
(০২)
আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
(০৩)
তার এই কথার ফলে আপনাদের বিবাহে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৪)
এটা বলাতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এটি বলার দরুন তাদের সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে।
বিধায় এটি বলা মুসলমানদের জন্য জায়েজ নেই।
(০৫)
এর জন্য কুফর হবেনা।
(০৬)
এতে আপনার কুফর হবেনা।
তবে ভবিষ্যতে এহেন কোনো জামা কাপড় পরিধান করবেননা।