আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
edited by

১. আমি যে বিভাগে পড়াশোনা করি সে বিভাগ থেকে পিকনিকের জন্য আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমরা কজনকে , যদিও আমি যেতে পারি নাই তবে মোটামোটি অনেক কাজেই ছিলাম । আমি পিকনিকের টির্শাট এর জন্য একটি স্টিকার ডিজাইন করে দেই । আর যে পুরোপুরি দায়িত্বে ছিলো তাকে বলি ,আমাকে ডিজাইন করে দেওয়ার জন্য টাকা দিছ। সে একবার দিবে বলেছে । পরে টিশাট অডার দেওয়ার পরে (আমাকে হিসাব করে দিয়েছে) ্ আমি টুরে যােইতে পারি নাই এবং টাকাও দেই নাই । যদিও বলেছিলাম যে আমি টিশাট এর টাকা দিবো। ফিরত আসাার পরে যখন আমার টিশাট আনতে যাই  তখন একজন মজা করে বলে টাকা দে এইটার । আমি বললাম ,আগে আামার ডিজাইনের খরচা দে । তখন সেই দায়িত্বরত ছাত্র বলে এইটার জন্য আবার টাকা নিয়ে কি করবি । যাই হোক,  তখন ওরা আমাকে টিশাট টি দেয় , আমি প্রথমে কিছু না বললেও পরে দুই বার  এইটার দাম নিতে বলি কিন্তু তারা তা নেয় নি । ্এবং বলে যে টাকা আছে আরো অতিরিক্ত সব খরচা হয় নাই  । তর টাকা দেওয়া লাগবে না, এইটা নিয়ে নে । এখন আমি ডিজাইন করে দিয়েছি বিবেচনা করে এই টিশাট যদি ব্যবহার করি তাকি আমার জন্য জয়েজ হবে ? না হলে কি করনীয় ? এইটার টাকা কি সদকা করা আবশ্যক ? না পারিশ্রমিক মনে করে রেখে দিবো

২. আজকে মালিকি মাজহাবের একটা গ্রুপে  একজন সুদ সম্পকে জানতে চাইলো। এইটা আমর সামেন আসে আমি দেখলাম সেখানে বলা ছিলো  যে টাকা এবং একই রকম বস্তুর বিনিময়ে অতিরিক্ত কিছু নেওয়া সুদ , দ্রব্যর ক্ষেত্রে এর নাম হলো রিবা আল ফাদল । এইটা দেখে কেনো জানি আমার মাথায় আসে যে কোথায় যেনো শুনেছিলাম যে দ্রব্যর উপর কিছু নিলে সুদ হয় না । পরে মনে হলো এটা কি আমাদের মাজহাবের মত য়ে দ্রব্যর উপর দিলে সুদ হয় না । পরে খোজে দেখার সময় আমার মনে পরলো যে টাকার সাথে দ্রব্যর লেনদেনে সুদ হয় না । যেটাকে আমি ভুল ভেবেছিলাম আসলে বিষয়টা ভুলে গিয়েছিলাম আর খনিকের জন্য আমার মাথায় েএইটা চলে  েআসে যে দ্রব্যর আতিরিক্তি নেওয়া হয়তো যাবে ( নাউজুবিল্লাহ) পরে তওবা করেছি ইস্তেগফার পড়ে । আমার কি ইমানে সমস্যা হবে

৩. বাথরুমে পেশাব করে পানি নেওয়ার শব্দ বউ শুনে নি , না শুনে বলে পানি নাও নাই ?  হিন্দু বেটা । ওর এই কথার ফলে আমাদের বিবাহে কি সমস্যা হবে ? 

৪. কেও যদি পাদ্রীদের কথা থেকে শিখে, অন্য দের বলে " God blesse you" (ইশ্বর তোমার ভালো করুক) তবে কি কোনো সমস্যা হবে?

৫. কেও যদি খ্রিষ্টানদের দেখা দেখি, উপরে আঙ্গুল দিয়ো দুইকাধে ক্রুশের মতো চিহ্ন দেখায় যেমনটা খ্রিষ্টানরা করে৷ এতে কি কুফর হবে?

আমার কেনো জানি সন্দেহ হচ্ছে আমি অনেক আগে এরম করেছিলাম এর জন্য কি কুফর হবে?

৬. আমার একটা পান্জাবী ছিলো যাতে ক্রুশের মতো যোগ আকারে অনেক দাগ ছিলো, আসলে পরিষ্কার ক্রুশ ছিলো না, শুধু যোগ চিন্হের মতো করে একটা দাগ লম্বা এরকম ছিলে,  এটা দেখে আমার সন্দেহ লাগতো যে ক্রুশ কিনা এগুলো তাও এই পোশাক পড়েছি অনেক, এতে কি আমার কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি পিকনিকের টির্শাট এর জন্য একটি স্টিকার ডিজাইন করে দিয়েছেন।
এখন কথা হলো আপনাদের যেকজনকে পিকনিকের আয়োজনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়,তাদের কেউ কি নিজ কাজ করে টাকা নিয়েছে বা এটি বলা আছে যে এই সমস্ত দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার জন্য আপনারা টাকা পাবেন?

যদি আপনারা আপনাদের শ্রমের বিনিময় পাবেন,এমনটি আপনি যে বিভাগে পড়াশোনা করেন, সে বিভাগ থেকে বলে দেয়া থাকে,সেক্ষেত্রে তো আপনি পারিশ্রমিক হিসেবে উক্ত টিশার্ট নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

কিন্তু যদি আপনাদের পারিশ্রমিক বাবদ কিছু দেয়ার কথা উল্লেখ না থাকে,বরং আপনাদের মেহনতটা যদি সম্পূর্ণ ফ্রী হয়,আর আপনারা সকলেই সন্তুষ্টি চিত্তে ফ্রি হিসেবেই শ্রম দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এই টিশার্ট উক্ত বিভাগের যারা যারা টাকা দিয়েছে,তাদের সকলের অনুমতি ছাড়া গ্রহন করা জায়েজ হবেনা।
গ্রহন করলে সেই টিশার্ট এর টাকা তাদেরকে দিয়ে দিতে হবে।

এটি সদকাহ নয়,বরং তাদেরকেই ফেরত দিতে হবে। 

(০২)
আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
তার এই কথার ফলে আপনাদের বিবাহে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এটা বলাতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এটি বলার দরুন তাদের সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে।
বিধায় এটি বলা মুসলমানদের জন্য জায়েজ নেই।

(০৫)
এর জন্য কুফর হবেনা।

(০৬)
এতে আপনার কুফর হবেনা।
তবে ভবিষ্যতে এহেন কোনো জামা কাপড় পরিধান করবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...