আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শাইখ
শাইখ আমি খুব সমস্যায় আছি। আপনার পরামর্শ চাচ্ছি।

শাইখ, ইসলামে তো সহশিক্ষা হারাম!
এখন অনেকে বলে মেয়েদেরও উচ্চশিক্ষা জরুরি।
শাইখ, আমি একাউন্টিং নিয়ে বিবিএ কমপ্লিট করেছি.. গতমাসেই ডিফেন্স শেষ করেছি,, হারাম জানার পর দুনিয়াবি পড়াশোনা আর করতে চাচ্ছি না।

কিন্তু শাইখ, অনেকে মহিলা কলেজ সাজেস্ট করে...। কিন্তু শাইখ, আমি পড়েছিলাম মহিলা কলেজে স্যাররা ক্লাস নেয়..। এমনকি ছবি জমা থেকে যা দরকার সবকিছু মেইল এর কাছেই করতে হতো। প্রাইভেটও স্যারদের কাছে পড়তে হতো। শাইখ, মেইলের কাছে ছবি জমা দেয়া কি পর্দার খেলাফ না?

অনেকে বলে প্রয়োজনে ছবি দেয়া জায়েজ!
প্রয়োজনে বলতে তো হজ্জের জন্য ছবি, এনআইডির জন্য ছবি।

কলেজে (মহিলা কলেজ) দুনিয়াবি শিক্ষার ক্ষেত্রে ছবি জমা দেয়া (মেইলের কাছে),, ভার্সিটিতে নিকাব করা সত্ত্বেও প্রতি সেমিস্টারে ছবি জমা দেয়া (মেইলের কাছে) এসব কি পর্দার খেলাফ না ???

শাইখ প্লিজ আযীমাত এর বিধানে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/8682/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ

প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে হারাম। 

তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

অহেতুক ছবি তোলা জায়েজ নয়। কিন্তু বাধ্য হলে জায়েজ আছে। 

قَاعِدَة الضرورات تبيح الْمَحْظُورَات

তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭০] 

قَاعِدَة الضرورات تقدر بِقَدرِهَا

জরুরত তার সীমায় সীমিত থাকবে। [কাওয়ায়েদুল ফিক্বহ, কায়দা নং-১৭১] 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য বিশেষ প্রয়োজন বশত প্রতি সেমিস্টারে ছবি জমা দেয়া জায়েজ হবে।
মেইলের কাছে ছবি জমা দেয়া কি পর্দার খেলাফ,তবে প্রয়োজন বশয় জায়েজ।
লেখাপড়ার বিষয়টি ইসলামী স্কলারদের মতে প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। 

তবে এসব ছবি শিক্ষকেরা দেখে ফেললে গোনাহ তাদেরই হবে, আপনার নয়। যদি তারা বিনা প্রয়োজনে উক্ত ছবির দিকে তাকায়।

আরো জানুনঃ- 

তবে আপনি যদি সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক মাতা পিতার সন্তুষ্টি চিত্তে এভাবে ছবি না দেয়ার লক্ষ্যে লেখাপড়া বাদ দেন,সেক্ষেত্রে সেটি তাকওয়ার পরিচায়ক হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...