بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.হ্যাঁ, উক্ত নামায সহীহ হয়ে যাবে। তবে সিজদায়ে তিলাওয়াত না করার কারণে গুনাহ হবে। আর ঐ সিজদা যেহেতু নামাযে আদায় করা হয়নি তাই তা আর আদায় করতে হবে না। কেননা নামাযের সিজদায়ে তিলাওয়াত নামাযের বাইরে আদায় করার বিধান নেই।
প্রকাশ থাকে যে, কেউ যদি নামাযে ভুলে সিজদায়ে তিলাওয়াত না করে সালাম ফিরিয়ে ফেলে, অতঃপর নামায পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগে তা স্মরণ হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ তা আদায় করে সাহু সিজদা দিয়ে নামায শেষ করবে।
(কিতাবুল আছল ১/২৭৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪১০; আলবাহরুর রায়েক ২/১২৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৬১)
যদি নামাজে তেলাওয়াতে সেজদা পাঠ করা হয় তাহলে নামাজেই সেজদা করতে হবে,বাহিরে করলে হবে না।নামাজে আদায় করার পদ্ধতি হচ্ছে, যদি সূরার শেষাংশে সেজদায়ে তেলাওয়াত হয়,তাহলে নামাজের মধ্যেই উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত পড়ার পূর্বে আদায় করতে হবে এবং করাই ওয়াজিব।কিন্তু মধ্যাংশে হলে উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত থেকে একটু বেশীও পড়া যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫৬)
২. বৃত্তি বা স্টুডেন্ট স্কলারশিপ গ্রহণ করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে মাস'আলা আমরা নিচের ব্যাখ্যা থেকেই বুঝতে পারবো।
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়, যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল, তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে, দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না। আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
সুতরাং বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে(মা'রিফুস-সুনান- ১/৩৪)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
প্রথমে দেখতে হবে ব্যাংক কোন খাত থেকে দিচ্ছে। যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে। আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়, তাহলে ধনী ছাত্রদের জন্য জায়েয হবে না। তবে গরীব ছাত্রদের জন্য তা নেওয়া জায়েয হবে।
কেননা সাধারণত ব্যাংক থেকে যেই বৃত্তির টাকা দেয়া হয়,তাহা সূদ হতেই দেয়া হয়। তাই যারা যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত, তথা যারা গরিব (যাকাত যাদের উপর ফরজ নয়) তারা এই বৃত্তি গ্রহন করতে পারবে। তবে ধনীর নাবালেগ সন্তান এই বৃত্তি নিতে পারবেনা।