আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
১.আসসালামু আলাইকুম। আপনারা বলেছেন বাচ্চাদের দুই বছরের বেশি যে দুধ খাওয়া হারাম, এটার রেফারেন্স দিন প্লিজ। আমি ডিটেলস জানতে চাই। এটা আসলে নাজায়েজ নাকি হারাম? এর বিরুদ্ধে কুরআনের আয়াত আছে??? দয়া করে জানাবেন।

২.জান্নাতে যে হজরত মারয়াম আর আসিয় আঃ এর বিয়ে হবে এটার দলিল কি? অনেকে হাদিসগুলো জয়ীফ বলে। কিন্তু জয়ীফ হাদিস কি ব্যবহার করা যাবে না??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত দুধ পান করানো যাবে।
وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ ۚ [٢:٢٣٣]

আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। [সূরা বাকারা-২৩৩]

وهو حولان ونصف عنده وحولان عندهما وهو الأصح (رد المحتار، كتاب النكاح-4/393)
وهى أى مدته حولان ونصف أى ثلاثون شهرا من وقت الولادة عند الإمام، وعندهما حولان وهو قول الشافعى وعليه الفتوى كما فى المواثب، وبه أخذ الطحاوى (مجمع الأنهر-1/552

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সন্তানকে দুধ পান করানোর মেয়াদ চান্দ্র বছর হিসেবে দুই বছর।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) আর মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। (এ বিধান) তার জন্য যে দুধ পানের (মেয়াদ) পূর্ণ করতে চায়। [সূরা বাকারা : ২৩৩]

আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, আর তার (সন্তান) দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে। [সূরা লুকমান : ১৪]

সুতরাং দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর সন্তানকে আর দুধ পান করানো যাবে না।

দুই বৎসর পর্যন্তই দুধ পান করানো যাবে।এরপর পান করানো হারাম বলেই বিবেচিত হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/31783

(২)
হজরত মারয়াম আর আসিয় আঃ এর বিয়ে হবে এটা নির্ভর্যোগ্য কোনো দলিল দ্বারা প্রমাণিত নয়।
والخلاصة أن الأحاديث الواردة في هذا الباب كلها ضعيفة منكرة ، لا يصح منها شيء ، ولا تجوز نسبتها إلى النبي صلى الله عليه وسلم ، كما لا يجوز الخوض بما جاء فيها ، فذلك من الغيب الذي لم يطلعنا الله عليه ، ويجب أن نكل أمره إلى الله عز وجل . ابن كثير في "البداية والنهاية" (2/75) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
হযরত বলবন না? 
by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...