ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কুফর বা শিরকের প্রতি সন্তুষ্ট থাকার অর্থ হল, কোনো জিনিসকে শিরক বা কুফর জেনে সেই বিষয়কে নিজের জন্য ভাল ও সন্তুষজনক মনে করা এবং অন্যকে এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
সুতরাং
কোনো কাজ কুফরি কি না? সন্দেহ হওয়ায় কেউ যদি নিজে না করে অন্যকে করতে বলে, তবে তাতেও কুফর এর প্রতি সন্তুষ্টি বুঝাবে না। বরং নিশ্চিত কুফর জেনে তার সেই কুফরের প্রতি দাওয়াত প্রদাণই মূলত কুফরির প্রতি সন্তুষ্টি।
(২)
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অন্যর সাইন নকল করা ধোকা ও প্রতারণা হওয়ার কারণে মারাত্মক পর্যায়ের গোনাহ। তবে হিন্দু ব্যক্তির সাইন নকল করার কারণে বা অন্য নকল করার জন্য বলার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
যাদের কাছ থেকে চাদা নেওয়া হয়েছে, যে কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে, সেই কাজ ব্যতিত অন্য কোনো কাজে ঐ টাকা ব্যবহার করা যাবে না। কলেজ থেকে যেই কাজের জন্য টাকা দেওয়া হয়, যেই কাজের জন্য দেওয়া সেই কাজ ব্যতিত অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অন্যকাজে ব্যবহার করতে হলে দাতাগণের অনুমোদন নিতে হবে।নতুবা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না, জায়েয হবে না।
যদি দাতাগণ পুরুস্কার প্রদাণের জন্য সেই টাকা দিতে রাজী থাকেন, এবং সম্মতি প্রদাণ করেন, তাহলে সেই টাকা পুরুস্কার প্রদাণের কাজে ব্যবহার করা যাবে। তখন প্রতিযোগিতা অনুষ্টান করে সেই টাকা থেকে পুরুস্কার প্রদাণ করা যাবে। জুয়া হবে না।
(৪)
তাকে খাওয়ার জন্য মজবুর করটাও জায়েয হবে না। হ্যা, তার সিট বা সকল প্রকার সুযোগসুবিধা বাতিল করে দিতে পারেন। এবং পরবর্তীতে যখন সে নির্দিষ্ট একটা ফরম জমা দিবে,এবং সাথে ফিসও দিবে,তখন না হয় তাকে আবার সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/8713
(৫)
নামাজে ফাহিতার পরে সুরা মিলানোর সময় এক আয়াতকে ২ বার তিলাওয়াত করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৬)
নামাজে ওয়াজিব নিয়ে সন্দেহ থাকলে সাহু সিজদা দিতে হলে, দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিতে হবে। এখন যদি সত্যি সত্যিই সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে,তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে।