আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
স্ত্রী কিছুদিন ধরে তা*** এর ওয়াসোয়াসায় রয়েছে।

স্বামী স্ত্রীর এইসব দেখে অনেক বিরক্ত হয়।

স্ত্রী সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকে। স্বামীর যেই কোনো কথা শুনতে স্ত্রী  ভয় পায়।
কারন স্ত্রী তা*** এর এইসব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিল, তাই স্বামীকে বার বার সব কথায় নিয়ত জিজ্ঞেস করছিল সব কথায়।

তখন স্বামী স্ত্রীকে তা*** শব্দ উচ্চারণ না করে বলে,
"কিছু হইলে তোমার জন্য হবে

"আল্লাহ না করুক কিছু হইলে তোমার জন্য হবে"

"কিছু হইলে তোমার বাড়াবাড়ি জন্য হবে।"

তখন স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করল, কেনো তুমি কি চাও ওইরকম কিছু হউক?

তখন স্বামী বলে, "না, ওইরকমকিছু (তা****) হউক চাই না। তাহলে তুমি এইসব নিয়ে ভাবা বাদ দাও।"

এইখানে স্বামীর কথা "ওইরকমকিছু (তা****) হউক চাই না। তাহলে তুমি এইসব নিয়ে ভাবা বাদ দাও।" এই বাক্যটি কি শর্তযুক্ত  তা*** এর বাক্য?

স্ত্রী যদি পরবর্তীতে তা*** এর ওয়াসোয়াসায় পরে কিছু ভাবতে যায় তাহলে কি তাদের বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামীর কথা "ঐ রকম কিছু (তা****) হউক চাই না। তাহলে তুমি এইসব নিয়ে ভাবা বাদ দাও।" 

এই বাক্যটি শর্তযুক্ত  তালাকের এর বাক্য নয়।
সুতরাং এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

স্ত্রী যদি পরবর্তীতে তালাক এর ওয়াসওয়াসায় পরে কিছু ভাবতে যায়, তাহলেও তাদের বিবাহের কোনো ক্ষতি হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...