ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কোনো নারীর জন্য দুরবর্তি সফর (৭৮ কিলোমিটার) মাহরাম পুরুষ ছাড়া করা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।
সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি সফর ৭৮ কিলোমিটার চেয়ে কম হয়,সেক্ষেত্রে রাস্তা নিরাপদ হলে,আর ফিতনার কোনো আশংকা না থাকলে.সফরটি যদি রাতে না হয়,সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করা জায়েজ হবে।
আর যদি সফর ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত সফরে মাহরাম পুরুষ ছাড়া যাওয়া কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।
আরো জানুনঃ-
★শিক্ষা সফরে নারী শিক্ষার্থীরা মাহরাম ছাড়া যেতে পারবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★শিক্ষা সফরে না যাওয়া সত্বেও এভাবে ফি কেটে রাখা শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম করার অন্তর্ভুক্ত হবে।
(০২)
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পড়াশোনা করা যাবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে অন্যান্য ওয়ারিশ তথা বাবা মার ভাই বোন যদি থাকে,সেক্ষেত্রে তাদেরকেও তাদের অংশ দিয়ে বাকি টুকু মেয়ের নামে লিখে দিতে পারবে।
আর যদি বাবা মার ভাই বোন ইত্যাদি অন্য কোনো ওয়ারিশ না থাকে,সেক্ষেত্রে বাবা মা মেয়েদের সব সম্পত্তি দিয়ে দিতে পারবেন।
(০৪)
সে যদি আগেই বলে থাকে যে এর উপর আমার দাবি নেই,সেক্ষেত্রে না বলে নেয়াতে গুনাহ হবেনা।
(০৫)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
এর দরুন আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।