জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যাকাত আদায় আবশ্যক হবার জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর ব্যক্তির কাছে থাকা আবশ্যক। আপনার কাছে বছরান্তে নেসাব পরিমাণ টাকা বিদ্যমান না থাকলে আপনার উপর এখন আর যাকাত আবশ্যক হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, বছর অতিক্রান্ত না হলে কোন মালের উপর যাকাত আবশ্যক হয় না। [সুনানে ইবনে মাজাহ-১/১২৮ হাদীস নং-১৭৯২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৭৩, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৬৩১]
★শরীয়তের বিধান হলো,বছরের শুরু ও শেষে নিসাব পূর্ণ থাকলে যাকাত আদায় করতে হবে। মাঝে নিসাব কমে যাওয়া ধর্তব্য নয়। অবশ্য বছরের মাঝে সম্পূর্ণ সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে ঐ সময় থেকে নতুন করে বছরের হিসাব আরম্ভ হবে এবং এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আদায় করতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৪২,৭০৪৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৪ ই ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে আপনার যদি নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকে,তথা সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপা সমপরিমাণ টাকা দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যাকাতের হিসাব আরবি মাস অনুযায়ী করতে হয়,তাই আপনার প্রতি আরবী মাস অনুযায়ী হিসাব করার পরামর্শ থাকবে।