আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in সালাত(Prayer) by (66 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম
১.আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে,যার জন্য মাঝে মধ্যে ২/৩ বার অযু করে নামাজ পড়তে হয়। এক্ষেত্রে যদি সুন্নাত নামাজ পড়ার মাঝে বায়ু চলে আসে আর বাকি সালাত যদি আদায় না করি তাহলে কি গুনাহ হবে? বার বার অজু করে নামাজ পড়তে অলসতা কাজ করে।
২.আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়াকালীন যদি আজান দেয় সেক্ষেত্রে কিভাবে আজানের উত্তর দিতে হবে? যেহেতু নামাজরত অবস্থায় উত্তর দেয়া সম্ভব না,সেক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
নফল শুরু করার দ্বারা তাহা পূর্ণ করা আবশ্যক হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]
হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।
,  
قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )
নফল নামাজ শুরু করলে সেটা পূর্ণ করবে,,,। 

يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد
আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। 
 এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত নামাজ তো সুন্নাত ছিলো,কিন্তু আপনি যখন তাহা আদায় শুরু করেছেন,তখন আপনার উপর তাহা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু করে এসে আপনাকে বাকি সালাত আদায় করতেই হবে।
নতুবা এটি আপনার যিম্মায় আবশ্যক থেকেই যাবে। 
আদায় না করলে গুনাহ হবে।

(০২)
সেক্ষেত্রে নামাজ শেষে কোনো আযান শুনতে পারলে সেই আযানের জবাব দিবেন।
নামাজের মধ্যে কোনোভাবেই আযাবের জবাব দেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...