বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ
আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।
إِذْ جَاء رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ
যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?
أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ
তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ
অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।
فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ
এবং বললঃ আমি পীড়িত।
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ
অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ
অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ
তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ
অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ
তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ
অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ
তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।
فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ
তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।(সূরা আসসাফফাত-৮৪--৯৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখুন অত্র আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলছেন,ইবরাহিম আঃ পুজায় না যেতে তাওরিয়াহ করেছিলেন।
ইবরাহিম আঃ যখন নিজ কওমের শিরক দেখলেন,তখন উনার মন খারাপ হয়ে গেল,মন অসুস্থ হয়ে গেল,তখন তিনি তাদের পুজাতে যাওয়ার আহবানের প্রতিউত্তরে বললেন,আমি অসুস্থ। তারা বুঝল,তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থ। অথচ তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন না।এবং তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থতাকে উদ্দেশ্যও নেননি।উনার উদ্দেশ্য ছিল,আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। বিস্তারিত জানুন-
5050
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পুজায় শরীক না হতে তাওরিয়াহ করবেন।যদি তাওরিয়া করে কাজ না হয়,তাহলে মিথ্যা কথা বলে হলেও এই সব হারাম কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
4552
তাওরিয়াহ,এবং প্রয়োজন মাফিক মিথ্যা বলার পরও যদি রেহাই না পান,এবং জোড় করে কেউ আপনাকে পুজার কোনো জিনিষ বেধে দেয়,তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।কেননা এই পরিস্থিতিতে ঈমান করা হয়তো আপনার জান মালের উপর হুমকি হতে পারে।