ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)জায়নামাজে যদি কোনো প্রানির চিহ্ন বুঝা যায়,তাহলে সেখানে নামায পড়া মাকরুহ হবে।
(২)যদি কিছু ব্যবহার করবো না বলা হয়,এবং পরবর্তীতে সেটা ব্যবহার করা হয়,তাহলে কথার খেলাফ তো অবশ্যই হবে। আল্লাহর নাম বলে শপথ না করলে, গোনাহ হবে না।
(৩)বিনা কারণে এশার সালাত দেরী করে পড়া মাকরুহ।তবে গোনাহ হবে না।
(৪)তাশাহুদ এর আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর পরিবর্তে 'ইল্লাল্লাহ' পড়লে নামায হবে।
(৫)আমানতের খেয়ানত হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।তবে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে না।তবে নিজের অবহেলায় আমানতের খেয়ানত হলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
(৬)লুডুর সাপ খেলা জায়েয হবে না।কেননা লডুতে সাপ দৃশ্যমান থাকে।আর দৃশমান ছবিযুক্ত কোনো কিছুকে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম।
(৭)বাড়ির পাশে রাস্তা,আপনি যদি নারী হন,তাহলে উচ্ছস্বরে কথা বলতে পারবো।বলা জায়েয হবে না।
(৮)কেউ কুরআন শরীফ পড়লে তখন কথা বলা যাবে না,বরং তখন কুরআন শুনতে হবে।
(৯)হারান জিনিস থাকলে তা যদি দানের উপযোগি না হয় তাহলে নষ্ট করে দিতে হবে।
(১০) এশার নামাযের পরপরই ঘুমিয়ে যাওয়া সুন্নত।
(১১)নামাজরত অবস্থায় মুখ দিয়ে ফু দিলে নামাজ ফাসেদ হবে না। তবে বাহির থেকে যদি বুঝা যায় যে, ঐ ব্যক্তি নামাযে নেই, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(১২)
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০২৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
নতুন পোষাক পরিধান করার পর সর্বদা মনে মনে ইস্তেগফার করবেন, তাহলে আর ওয়াসওয়াসা আসবে না।