আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)

১/ জায়নামাজে যদি কোনো প্রানির চিহ্ন বুঝা যায় সেখানে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে?

২/যদি কিছু ব্যবহার করবো না বলে সেটি ব্যবহার করি তাহলে কি কথা খেলাফ হবে?

৩/এশার এর সালাত দেরী করে পড়লে কি গুনাহ হবে?

৪/ তাশাহুদ এর আশহাদু আল্লা ইলাহা( ইল্লাল্লাহু) এর পরিবর্তে ইল্লাল্লাহ পড়লে কি নামাজ হবে?

৫/আমানতের খেয়ানত হলে এর কাফফারা কি?যদি আমানত প্রদানকারিকে দেওয়া সম্ভব না।জিনিসও নস্ট হয়ে গেছে


৭/বাড়ির পাশে রাস্তা তো আমি কি জোরে কথা বলতে পারবো।নাকি গুনাহ হবে?

৮/কেউ কুরআন শরীফ পড়লে তখন কি কথা বলা যাবে?

৯/ হারান জিনিস থাকলে তা যদি দানের উপযোগি না হয় তাহলে করনীয় কি?

১০/কয়টার ভিতরে ঘুমানো সুন্নত?

 

১১/নামাজরত অবস্থায় মুখ দিয়ে ফু দিলে কি নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে?

 

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
  

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০২৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

১২/এই হাদিসটি শুনার পড় এখন নতুন জামা পড়লে আমার নানা প্রকার ওয়াসওয়াসা আসছে এমতাবস্থায় কি করনীয়

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)জায়নামাজে যদি কোনো প্রানির চিহ্ন বুঝা যায়,তাহলে সেখানে নামায পড়া মাকরুহ হবে।

(২)যদি কিছু ব্যবহার করবো না বলা হয়,এবং পরবর্তীতে সেটা ব্যবহার করা হয়,তাহলে কথার খেলাফ তো অবশ্যই হবে। আল্লাহর নাম বলে শপথ না করলে, গোনাহ হবে না। 

(৩)বিনা কারণে এশার সালাত দেরী করে পড়া মাকরুহ।তবে গোনাহ হবে না। 

(৪)তাশাহুদ এর আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু  এর পরিবর্তে 'ইল্লাল্লাহ' পড়লে নামায হবে। 

(৫)আমানতের খেয়ানত হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।তবে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে না।তবে নিজের অবহেলায় আমানতের খেয়ানত হলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

(৬)লুডুর সাপ খেলা জায়েয হবে না।কেননা লডুতে সাপ দৃশ্যমান থাকে।আর দৃশমান ছবিযুক্ত কোনো কিছুকে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম।

(৭)বাড়ির পাশে রাস্তা,আপনি যদি নারী হন,তাহলে উচ্ছস্বরে কথা বলতে পারবো।বলা জায়েয হবে না।

(৮)কেউ কুরআন শরীফ পড়লে তখন কথা বলা যাবে না,বরং তখন কুরআন শুনতে হবে।

(৯)হারান জিনিস থাকলে তা যদি দানের উপযোগি না হয় তাহলে নষ্ট করে দিতে হবে।

(১০) এশার নামাযের পরপরই ঘুমিয়ে যাওয়া সুন্নত।


(১১)নামাজরত অবস্থায় মুখ দিয়ে ফু দিলে নামাজ ফাসেদ হবে না। তবে বাহির থেকে যদি বুঝা যায় যে, ঐ ব্যক্তি নামাযে নেই, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
 
(১২)
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০২৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস

নতুন পোষাক পরিধান করার পর সর্বদা মনে মনে ইস্তেগফার করবেন, তাহলে আর ওয়াসওয়াসা আসবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...