আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
reopened by
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার প্রশ্নগুলা জানা খুব জরুরি।

১) ছেলে হকপন্থী আলেমদের খুব সম্মান করে। কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক চলার চেষ্টা করে। কিন্তু তার মা সেটা পছন্দ করে না। মা চায় ছেলে যেন মাজার পূজা করে। তার জন্য পারলে তাবিজ নিয়ে আসে যেন ছেলে মাজার মানে। মাঝে মাঝে  মাজারের বিরুদ্ধে বললে ছেলেকে বদদোয়া দেয়। ছেলে এখনো ভালো কোনো চাকরি করেনা। তাই তার কথার কোনও গুরুত্ব দেয় না। এমন অবস্থায় সে যদি তাদের মাজারে যেতে দেখলে মানা করলে বদদোয়া দেয়। প্রায়ই বলে তুই ধ্বংস হয়ে যাবি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে মা যদি এমন বদদোয়া দেয় এটা কি আসলেই লাগবে? এ থেকে বাঁচার উপায় কি?

২) কারো সাথে মনোমালিন্য হলে কিংবা ছেলে কথা না শুনলে শনিবার ও মঙ্গলবার মাজারে চলে যায় তাবিজ আনতে। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তাবিজ পাওয়া যায়।(লেবুগাছ, বিছানার তোষকের ভিতর) কোনভাবেই মানা করলে উনারা শুনতে রাজি না। পাগলের মত খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেয়। তাদের সাথে কিভাবে চলাফেরা করা উচিত?

৩) ছেলে আকদ বিয়ে করেছে এমন এক পরিবারে যারা মাজার মানেনা, যদিও ছেলের মা -বাবা তেমন রাজি ছিলো না । ছেলের বউ পর্দা করে সেটাও তারা তেমন একটা পছন্দ করে না। শুধু সুযোগ খুঁজে কিভাবে পর্দা না করতে পারে। বউয়ের বাবার বাড়িতে দেখতে গেলে বউয়ের রুমে ভাসুর, দেবর সহ নিয়ে গিয়ে বসে থাকে। বার বার বলতে থাকে এরা ভাইয়ের মতো, তাদের সামনে পর্দা করতে হয়না। শ্বশুর বাড়িতে এখনো বউ কে তুলে দেয়নি। এর মাঝেই তাদের ঘরে সন্তান আসে। সন্তান আসা নিয়ে ছেলের মা, বাবা কেউ খুশি ছিলো না।

ছেলের বউয়ের মুখের উপর বলে আসেন এটা তারা খুশি হন নাই। যদিও বউ বা ছেলের বা তার সন্তানের কোনও খরচ তারা দেন নাই কখনো। ছেলের বউ কেও পীরের মুরিদ বানানোর জন্য মাজারে নিতে চাইসেন, ছেলে রাগারাগি করায় আর নিতে পারে নাই।

যদিও ওরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কুরআন তেলাওয়াত করে, ব্যবহার সুন্দর, খুব আপ্যায়ন করে। সব ভালো কিন্তু পীর, মাজার নিয়ে কথা বললেই অবস্থা খারাপ।

এমন একটা পরিবারের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত? ছেলে যদি বউ কে এমন একটা বাড়িতে নিয়ে বউকে তুলতে চায়, তোলা ঠিক হবে কিনা? যেহেতু এখানে ছোট বাচ্চা টাও এসব শিখবে, সব দিক বিবেচনা করে কি করা উচিত? যেখানে কারো হক নষ্ট করা হবেনা, আবার হক আদায় করতে গিয়েও কারো ঈমান নষ্ট হবেনা।

জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلى أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।
(সূরা লুকমান-১৪-১৫)

মাতাপিতা মাজার পুজারী এবং ছেলেকে মাজার পুজারী হওয়ার আদেশ বা চেষ্টা প্রচেষ্টা করার পরও সন্তান তার মাতপিতার সাথে উত্তম আচরণ করবে।মাতাপিতার কথায় কখনো কান দেবে না। এজন্য মাতাপিতাকে সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা করবে।মাতাপিতা যদি এজন্য বদ দুআ প্রদাণ করে, তাহলে সেই বদ দু'আ কবুল হবে না।

(২)
তাকে সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।তাকে বুঝানোর জন্য তার সাথে আংশিক যোগাযোগ বাকী রাখতে হবে।

(৩)
এমতাবস্থায় ছেলের উচিৎ মাতাপিতার দেখাশোনা করার পাশাপাশি নিজের স্ত্রী সন্তানকে পৃথক বাড়ীতে রাখা নিজের স্ত্রী সন্তানকে পৃথক বাড়ীতে রাখাই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...