ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلى أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।
(সূরা লুকমান-১৪-১৫)
মাতাপিতা মাজার পুজারী এবং ছেলেকে মাজার পুজারী হওয়ার আদেশ বা চেষ্টা প্রচেষ্টা করার পরও সন্তান তার মাতপিতার সাথে উত্তম আচরণ করবে।মাতাপিতার কথায় কখনো কান দেবে না। এজন্য মাতাপিতাকে সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা করবে।মাতাপিতা যদি এজন্য বদ দুআ প্রদাণ করে, তাহলে সেই বদ দু'আ কবুল হবে না।
(২)
তাকে সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।তাকে বুঝানোর জন্য তার সাথে আংশিক যোগাযোগ বাকী রাখতে হবে।
(৩)
এমতাবস্থায় ছেলের উচিৎ মাতাপিতার দেখাশোনা করার পাশাপাশি নিজের স্ত্রী সন্তানকে পৃথক বাড়ীতে রাখা নিজের স্ত্রী সন্তানকে পৃথক বাড়ীতে রাখাই উত্তম হবে।