আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,প্লিজ গুরুত্বসহকারে পড়ে সমাধান দিবেন।

আমি গত প্রায় এক বছর ধরে গ্যাসের সমস্যায় ভুগছি। কখনো এই সমস্যা কমে কখনো এই সমস্যা বাড়ে। কিন্তু সলাত আদায়ের সময়ই সমস্যা বেশি হয়। ইদানিং সমস্যা কমেছে। তবে আমার মধ্যে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে সলাত আদায় করতে গেলে আমার ভেতরে কেমন জানি ভয় সৃষ্টি হয়। আমি বুঝি না কেন? মাঝে মাঝে ভেতরটা অস্থির হয়ে যায় মনে হয় এই বুঝি আমার গ্যাসের সমস্যা দেখা দিবে আর ওযু ভেঙে যাবে। আমি রিলাক্সভাবে সলাত আদায় করতে পারি না। তার উপর এই কয়েকদিন সলাতের জন্য ওযু করতে গেলেই ফিল হয় পেছনের রাস্তা দিয়ে কিছু যেন বের হচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে ইস্তিঞ্জা করার পরও লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় বাবলের মতো কিছু। সাধারণ অবস্থায় অন্যান্য কাজ করার সময় এমনটা লাগে না বা বের হয় না। সলাতের জন্য ওযু করতে গেলে,সলাতের মধ্যে বা ইস্তিঞ্জার পরই বের হয়েছে বলে মনে হয়। গতকাল থেকে যখনই ওযু করতে গিয়েছি বা সলাত আদায় করেছি তখনই এমন হয়েছে। আমার মনে হয় মানসিক চাপ থেকে আমার শরীরের উপর এই এফেক্টটা পড়ছে। এখন যেহেতু যখনি ওযু করছি তখনই এমনটা হচ্ছে সেহেতু আমি কী একবারেই ওযু করে ফেলব? আমার মনে হচ্ছে পাত্তা না দিয়ে সলাত আদায় করলেই আমি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।  কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কি করা উচিত। আমার ঠিকভাবে সলাত আদায়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার মাঝে মাঝে ওয়াসওয়াসাও হয়। আমি ওযু ভেঙেছে নাকি ভাঙে তার মধ্যে দ্বন্দ্ব-এ পড়ে যায়। প্লিজ আমাকে এর সমাধান দিন। কিভাবে আমি শান্তিতে আল্লাহর দীন অটল থাকতে পারব?
আরেকটা প্রশ্ন, এই যে বের হচ্ছে সেগুলো আমার তরল নাকি গ্যাস আমি বুঝতে পারছি না কারণ এগুলোর কারণে পায়জামা ভিজে না মাঝে মাঝে গন্ধ হয়। এখন এর কারণে পায়জামা ধুতে হবে বারবার?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যতক্ষণ না অজু ভঙ্গের পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হবে,ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নামায চালিয়ে যাবেন। আপনার পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না।তবে যখন অজু ভঙ্গ হওয়ার পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হয়ে যিবে, তখনই কেবল আপনাকে অজু করে নামায পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...