বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ইসলাম সর্বদা খুবই শক্তিশালী অথবা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতদিন বার জন খলীফাহ্ থাকবে।
সেই আলোকে প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যা হলো, সেই বারোজন ইমাম তথা খলীফাহ কুরাইশ মধ্য থেকেই হবে।
অন্য বংশ থেকে নয়।
তার মানে ইসলামে ১২ জন খলিফা থাকবে,যাদের জীবদ্দশায় তথা যাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বদা খুবই শক্তিশালী অথবা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
আর তারা কুরাইশ মধ্য থেকেই হবে।
অন্য বংশ থেকে নয়।
এক্ষেত্রে এটি অর্থ নয় যে মুসলিম জাহানের নেতা কুরাইশ বংশের ছাড়া অন্য বংশের হতেই পারবেনা,বিষয়টি ঠিক নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَزَالُ الْإِسْلَامُ عَزِيزًا إِلَى اثْنَيْ عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَزَالُ أَمْرُ النَّاسِ مَاضِيًا مَا وَلِيَهُمُ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَزَالُ الدِّينُ قَائِمًا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَة أَو يَكُونُ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْش»
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, বারোজন খলীফাহ্ অতিবাহিত হওয়া অবধি ইসলাম শক্তিশালী থাকবে। তারা সকলই হবেন কুরায়শ বংশোদ্ভূত। অপর এক বর্ণনাতে আছে, মানুষের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সঠিকভাবে চলতে থাকবে বারোজন খলীফাহ অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। তারা সকলেই হবে কুরায়শ বংশের।
অপর আরেক বর্ণনাতে আছে, [নবী (সা.) বলেছেন:] দীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যে অবধি না কিয়ামত আসে এবং তাদের ওপর বারোজন খলীফার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা সকলেই হবেন কুরায়শী।
(সহীহ: বুখারী ৩৫০১, ৭২২২ মুসলিম ৭-(১৮২১), ১০-(১৮২২), মুসনাদে আহমাদ ২০৮৬২, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৭৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৬৬১, আল মুজামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৭৮৩, আল মু'জামুল আওসাত্ব ৮৫৯, আবূ দাউদ ৪২৮০,মিশকাত ৫৯৮৩।)
(لَا يَزَالُ الْإِسْلَامُ عَزِيزًا) অর্থাৎ ইসলাম সর্বদা খুবই শক্তিশালী অথবা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতদিন বার জন খলীফাহ্ থাকবে। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এই বর্ণনা ও অন্য বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, দীন সর্বদা প্রতিষ্ঠিত থাকবে এমনকি তাদের নিকট বার জন খলীফাহ্ আগমন করবে।
(كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ) কতিপয় মুহাক্কিক বলেন, এদের মধ্যে চার খলীফাহ্ অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর বাকীগুলো কিয়ামতের আগে পূর্ণ হবেন। কেউ কেউ বলেন, তারা সবাই একই যুগে হবেন আর মানুষ তাদেরকে আলাদা করবে।
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত চিন্তার দ্বারা কাহারো ঈমান চলে যাবেনা।
(০২)
যদি থুতু থেকে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হয়,সেক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে গিয়েছিলো।
আপনাকে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
আর যদি থুতুতে রক্তের ভাগ সমান না হয়,বরং কম হয়,সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যায়নি।
তাই নামাজও হয়ে গিয়েছে।
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা ।
(০৩)
تَعَالَى (تَعَالِي) [علو]
[তা'আলা] শব্দের অর্থঃ-
উঁচু হওয়া
উচ্চ হওয়া
বড় হওয়া
ঊর্ধ্বে হওয়া
শ্রেষ্ঠ হওয়া
মহান হওয়া।
كَرِيم ج كِرَام [كرم]
[কারীম] শব্দের অর্থঃ-
সম্মানিত
মর্যাদাবান
মহৎ
উদার
দানশীল
দাতা
মহানুভব
বদান্য
অতিথিপরায়ণ
মূল্যবান
مَجِيد [مجد]
[মাজীদ] শব্দের অর্থঃ-
মর্যাদাবান
মহিমান্বিত
মহীয়ান
মহান
গৌরবান্বিত
গৌরবময়
شَرِيف ج أَشْرَاف ، شُرَفَاء [شرف]
[শারীফ] শব্দের অর্থঃ-
সম্ভ্রান্ত
ভদ্র
অভিজাত
মর্যাদাবান
মহৎ
শরীফ
★সেই হিসেবে কুরআন কারীম এর অর্থঃ মূল্যবান কুরআন, সম্মানীত কুরআন।
কুরআন শরীফ এর অর্থঃ মর্যাদাবান কুরআন।
কুরআন মাজীদ এর অর্থঃ মর্যাদাবান/মহিমান্বিত/মহীয়ান কুরআন।
(০৪)
এক্ষেত্রে ঘরোয়া ভাবে পূর্ণ পর্দার পরিবেশে মহিলাদের সাথে বা স্বামীর সাথে,বা ফিতনার আশংকা না থাকলে অন্যান্য মাহরাম পুরুষ এর সাথেও খেলতে পারবে।