আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পবিত্রতা (Purity) by (109 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

হুজুর হয়ত প্রশ্নটি আপনাদের বিরক্ত লাগতে পারে কিন্তু আমি নিরুপায় হয়ে করছি।

১, আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম প্রসাব যদি পুরুষাংগের রগে দেখা যায় কিন্তু বাইরে আসে নাই তাহলে অযু থাকবে কিনা আপ্নারা বলেছিলেন ' হ্যা থাকবে, যতক্ষন না বাইরে আসে'।একই ভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলাম গোসল করতে গিয়ে অনেক সমহ গোসলের পানি পুরুষনালির একটু ভিতরে ঢুকে যায় পরে তা বের হয়।এতে ফরজ গোসলের অযু  ভংগ হবে কিনা আপ্নারা বলেছিলেন, 'না হবে না'।

এখন আমার প্রশ্ন আমি অনেক সময় ফরজ গোসলের পূর্বে প্রসাব করে গোসল খানায় ঢুকি।প্রসাব পরিপূর্ন ভাবে ক্লিয়ার করি।তখন প্রসাব পুরুষ অংগের রগে দেখা যায় তবে তা কোনোদিনো বাইরে আসবেনা যতই ঝাকাঝাকি বা লাফালাফি হাটাহাটি করিনা কেন।একথা আমি প্রায় ১০০% নিশ্চিত।এখন ফরজ গোসল করার পর আমি যখন শরীর মুছি তখন দেখি সেখানে পানি।(আমি ধরে নেই এটা গোসলের পানি।এছাড়া পুরূষাংগের নালিতে এত পানি আসার কোনোই কারণ নাই।আমি নিশ্চিত এক্ষেত্রে)। ত এই পানির পরিমাণ যেহেত্য বেশি আমি টিস্যু দ্বারা ও এটা মুছে নেই।  এখন প্রশ্ন হল এই পানি যেমন গোসলের পানি একইভাবে গোসলের পূর্বে রগে যে অতি অল্প পানি দেখা গেসিলো সেই পানিও মিশ্রিত থাকার কথা/আছে।গোসলের পানি রগের মুখে প্রবেশ করাতে সেটার সাথে মিশ্রিত হয়েছে।সেটাই মুছেছি। তার মানেত এটা বাইরেও চলে এল। এখন আমার ফরজ গোসলের সাথে যে অযু করেছিলাম তা থাকবে কিনা নামাজ পড়তে পারব কিনা?

আমি ব্যাপারটা নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তা করি।রাসুল সাঃ ও সাহাবারাও ত ফরজ গোসলের পূর্বে প্রসাব করতেন তাদেরো হয়ত এমন হত।কিন্তু তারা আমার মত এত চিন্তা করত না।আর যদি সত্যিই এতে অযু ভংগ হয় তাহলে তাদেরোত অযু ভংগ হবার কথা। আমাকে একটু জানান প্লিজ

২,অযু করে নামাজ সম্পন্ন করার পর দেখি হাতের আংগুলের নিচে ময়লা(একটু বড় তুলনামুলক) এখন ভয় হচ্ছে নামাজ গুলো হয়েছে কিনা।

মুহতারাম আপ্নারা হয়ত ভাবতে পারেন অযু আবার করে নিলেইত হয়। আসলে আমি ওয়াসোয়াসায় ভুগতাম অনেক বেশি।তবে এখন অনেক খানি কমেছে।তবুও এখন অযু করতে ৫মিনিটের বেশি লাগে,অনেক পানি নষ্ট হয়।এজন্য বারবার অযু করা কষ্টের আমার জন্য। উল্লেখ্য আমার প্রসাবের পর পানি শুধু পানি ব্যবহার করলে ওয়াসোয়াসা লাগে তাই আমি শুধু টিস্যু ব্যবহার করি।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই
এটি গোসলেরই পানি।
এটি নাপাক পানি নয়।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় আপনার সন্দেহ মাত্র।

সুতরাং আপনার গোসল হয়ে যাবে,অযুও ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনি নামাজ পড়তে পারবেন।

(০২)
যদি ময়লা এমন শক্ত হয় যে আপনার ধারনায় পানি উক্ত ময়লা ভেদ করে চামড়ায় প্রবেশ করেনি,সেক্ষেত্রে পুনরায় অযু করতে হবে।
পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবে।

আর যদি ময়লা এমন শক্ত না হয়,বরং এমন হয় যে তাহা ভেদ করে পানি চামড়ায় পৌছবে,সেক্ষেত্রে পুনরায় অযু করতে হবেনা,পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবেনা। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...