আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
908 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
এমন রাস্তার উপর দিয়ে সাইকেল চালিয়েছি যেখানে গোবর ছিল। চাকায় গোবর লেগেছিল। সাইকেলের চাকা আমার গায়ে পা প্যন্টে লেগেছিল ( সম্ভবত ), আমি শুকিয়ে যাবার ( গোবর )  পর ওজু করলাম। ওজুর সময় সম্ভবত আবার গোবর ভিজে গিয়েছিল। এই অবস্থায় আমি আবার কিছুক্ষন সাইকেল চালাই ( কিছু রাস্তা আবার গোবর এর উপর দিয়েও যেতে হয়েছিল )।  এই অবস্থাতেই আমি নামাজ আদায় করি।

প্রশ্ন ঃ

১। গোবর শুকালে কি তার নাপাকি চলে যায়?

২। আমার নামাজ কি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن عبد الله بن مسعود قال : أراد النبي صلى الله عليه و سلم أن يتبرز فقال : إئتني بثلاثة أحجار فوجدت له حجرين وروثة حمار فأمسك الحجرين وطرح الروثة وقال : هي رجس
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: মহানাবী (ﷺ) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার ইচ্ছা করলেন, অতঃপর বললেন: আমাকে তিনটি পাথর এনে দাও। আমি দু’টি পাথর ও একখণ্ড গাধার শুকনো গোবর পেলাম। তিনি পাথর দু’টি নিলেন এবং গোবর খণ্ড ফেলে দিয়ে বললেন, এটা অপবিত্র।
বুখারী হা/১৫৬; তিরমিযী হা/১৭; নাসাঈ হা/৪২, ইবনে খুযায়মা।

হাদীসে বর্ণিত رجس শব্দের অর্থ নাপাক। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যে সকল প্রাণীর গোশত খাওয়া না জায়েয সেগুলোর গোবর নাপাক।

গোবর দিয়ে ঘর লেপা হলে সেখানে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে শরীয়তের  বিধান হলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে গোবর দিয়ে লেপা ঘরের মেজে পাক এবং তাতে নামায পড়া যাবে। তবে উত্তম হলো, কোনো কিছু বিছিয়ে নামায পড়া। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৩২০, মাজমাউল আনহুর ১/৬২, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ১/১৬০-১৬২)
,
★সুতরাং গোবর শুকনো হলেও সেটা নিজে নাপাক,তবে শুকনো হওয়ার কারনে যেহেতু সেই নাপাকি ছড়ানোর ভয় নেই,তাই তার উপর নামাজ জায়েজ। 
এই বিধান জমিনে লাগলার ক্ষেত্রে,তবে কাপড়ে লাগলে শুধু শুকানোর দ্বারা কাপড় পাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে দেখতে হবে আসলেই গোবর শরীরে বা কাপড়ে লেগেছে কিনা।
যদি না লাগে,তাহলে শুধু শুধু সন্দেহ করবেননা।
আর যদি লেগে থাকে, তাহলে ভেজার ছুরতেই হোক বা শুকানোর ছুরতেই হোক,শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি উক্ত গোবরের পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

গলীজ নাপাকটি শক্ত হয় , তাহলে এক দিরহামের ওজন পরিমাণসহ নামায আদায় জায়েজ হবে। এক দিরহামের ওজনের পরিমান বর্তমানে প্রায় তিন গ্রাম। {কানযুদ দাকায়েকের টিকা-১৫-১৬}

আরো জানুনঃ
,
সুতরাং এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হলে আপনার নামাজ হয়নি,আবার আদায় করতে হবে।
আর যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়,তাহলে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...