ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষের সাথে সম্পর্কিত আ'মল দুই প্রকার যথাঃ-
(১)প্রকাশ্য আ'মল
(২)অপ্রকাশ্য আ'মল
প্রকাশ্য আ'মল আবার দু ধরণের হতে পারে। যথাঃ
(ক) ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় যেমনঃ- নামায,রোযা, ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক যেমন - চুরি-ডাকাতি,ব্যভিচার ইত্যাদি।
ঠিকতেমনিভাবে অপ্রকাশ্য আ'মল ও দু ধরণের হতে পারে।
যথাঃ
(ক)ইতিবাচক ও প্রশংসিত যেমনঃ- বিনয়,ভদ্রতা ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক ও নিন্দনীয় যেমনঃ- অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষকে লালন করে,অহংকার, অভদ্রতা।
প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবগুলো আ'মলই কুরআন-হাদীসে বর্ণিত থাকলেও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কিন্তু শুধুমাত্র প্রকাশ্য আ'মল গুলোরই শিক্ষা দেয়া হয়।এবং কোথাও কোথাও এ দুই প্রকারের আ'মলের শিক্ষার সিলেবাস থাকলেও ব্যবহারিকভাবে শুধুমাত্র প্রকাশ্যে আ'মলেরই শিক্ষা দেয়া হয়।অপ্রকাশ্য আ'মলের শিক্ষা দেয়া হয় না বললেও অত্তুক্তি হবে না।এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাকে অনেকে অনুভবও করেন না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1037
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ইলমে তাসাউফের মধ্যে 'দেহতত্ত্ব' এর কেনো সম্পর্কে নাই।
২। 'দেহতত্ত্ব' দ্বারা কে কি বুঝান? সেটাতো বলা মুশকিল। দেহতত্ব শব্দ কুরআন হাদীসের কোথাও আসেনি।
৩। ইসলাম 'দেহতত্ত্ব' কে সমর্থন করে না।
৪। '৬ লতিফার যিকর' - উলামাগণ বলে থাকেন।এগুলো বিচ্ছিন্ন ভাবে হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা বা পদ্ধতির কোনো বর্ণনা কুরআন হাদীসে আসেনি।
৫। 'ওলী/নেককার ব্যাক্তিগণের ইন্তেকালের পর উনাদের রুহানী শক্তি নাকী ৭০ গুন বৃদ্ধি করে দেয়া হয়'- এ ধরনের আকীদা পোষণের কোনো ভিত্তি ইসলামে নাই।