আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
492 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
আমরা স্বামী স্ত্রী দীর্ঘদিন দূরে থাকার কারণে আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রী সুলভ কথা হতোনা। আমার মন চাইলেও সে বলতোনা। তাই আমি তাকে বলতাম তুমিতো আমার জন্য পরপুরুষ হয়ে গেছো আমি তোমার র জন্য পড়োনাড়ি হওয়ার গেছি।তোমার দামনে আমাকে পর্দা করতে হবে (আমি নিজের ওপর তালাক নিসি এই নিয়তে কোনোদিনই বলিনি)। এসব শুনে সে হাসতো আর বলতো ছি ছি এসব কি কথাসে ভিডিও কল দিলেও আমি ইচ্ছা করে মাথায় কাপড় দিয়ে বসতাম  যেনো সে বুঝে আমি তার কাছে কিছু চাইছি। কিন্তু সে হাসতো বা কি বলতো আমার মনে নাই। অনেক সময় সে সরি বলতো কিন্তু আমি তর্ক করতেই থাকতাম। এক পর্যায়ে সে বলতো আমি এমনি থাকলে থাক না থাকলে যাইগ্গা। কথা গুলা আমার স্পষ্ট মনে নাই। আমিও বলতাম আমি যামুইগা (নিজের ওপর তালাক নিবো এই নিয়তে বলিনি হয়তো নিয়ত এটা ছিলো এই লোকটাকে তালাক দিবো)সে যেনো আমাকে একটু সময় দেয় এই জন্য আমি এসব বলতাম। রেগে অনেক। সময় পরকীয়া করবো এসব ও বলতাম।

১. তুমি আমার জন্য পরপুরুষ বা আমি তোমার জন্য পড়োনাড়ি বা পর্দা করতে হবে তোমার সামনে, আমার নিজেকে সিঙ্গেল মনে হয়, আমার নিজেকে বিধবা মনে হয় এসব কথা নিজের ওপর তালাক নেয়ার নিয়ত না বলে যদি নিয়ত এমন হয় যে আমি এই লোকটাকে তালাক দিবো তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??মহিলা অধিকার প্রাপ্তা হলে
২. ঝগড়ার  সময়  যদি স্বামী বলে আমি এমনি আমার সাথে থাকতে মন না চাইলে যার কাসে ভালো লাগে যা এর মাধ্যমে কি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়?স্ত্রী কতদিনের অধিকার পাবে??

৩.স্বামী কেয়ানা বাক্য বলার সময় নিয়ত যদি এমন হয়  যে আমি তালাক দিবো স্ত্রীকে তালাক দিছি বা তালাক দিলাম নিয়তে না তালাক দিবো এই নিয়তে যদি কেনায়া বাক্য বলে তাহলে কি তালাক হয়ে যায়? যেমন বললো ওই তুই যা আর মনে নিয়ত এই মহিলাকে তালাক দিয়ে দিবো তালাক দিয়ে দিসি এই নিয়ত না তাহলে কি তালাক হবে?

৪. মাসিক চলাকালীন সময়ে তালাক হলে কি বাকি ২ মাসিক ইদ্দত পালন করবে নাকি ৩ মাসিক ইদ্দত পালন করবে?

৫, তালাকের অধিকার প্রাপ্তা স্ত্রীকে স্বামী যদি বলে ভালো না এলাগলে যাইগ্গা আর স্ত্রী যদি বলে যামুইগা বা যাবোগা (নিজের ওপর তালাক নিসি এই নিয়তে না এই লোকটাকে তালাক দিবো এই নিয়তে বল্লে কি তালাক হওয়ার যায়?

৬, কেনায়া বাক্য দিয়ে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিতে হলেতো  নিয়ত লাগে যে আমি স্ত্রীকে তালাক নেয়ার অধিকার দিতেসি। স্বামী যদি রেগে বলে যে আমারে ভালো না লাগলে যার কাসে ভালো লাগে তার কাসে যা অথবা বলে যে যা খুশি  কর বা তোর মন চাইলে  যা না করসে  কে যাইতে অথবা তোর মন চাইলে যা তরে ধইরা রাখসে কে (কথাগুলা স্পষ্ট মাইন নাই আমার)তাহলে কি স্ত্রীর তাকালের অধিকার পেয়ে যাবে?? পাইলে কতক্ষনের জন্য পাবে? আর স্বামীর যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার নিয়ত না থাকে তাহলেও কি স্ত্রীর অধিকার পাবে?? কতক্ষনের জন্য পাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
এর মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়না।

(০৩)
এক্ষেত্রে তৎক্ষনাৎ তালাক প্রদানের নিয়ত না থাকায় তালাক পতিত হবেনা। 

(০৪)
মাসিক চলাকালীন সময়ে তালাক হলে এই মাসিক + আরো তিন মাসিক ইদ্দত পালন করতে হবে

(০৫)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৬)
এগুলো দ্বারা স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা। 
এগুলো কেনায়া তালাকের বাক্য।
স্বামী তালাকের নিয়তে বললে বায়েন তালাক হবে।

আর যদি স্বামী তালাকের নিয়তে না বলে,তাহলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
6 নাম্বার প্রশ্নের উত্তর বাকি হুজুর 
by (574,050 points)
৬ নং প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...