بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ
رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا
وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا
سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ
مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ،
وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয়
মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন।
তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের]
বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}
فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع
إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى
الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ
(الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)
সারমর্মঃ কোনো ব্যাক্তি যদি তিন দিন তিন রাত সমপরিমাণ দুরত্ব সফর করে,নিজ শহরের মৌজা থেকে বের হওয়া মাত্র ব্যাক্তি
চার রাকাত ওয়ালা ফরজকে চার রাকাত করে আদায় করবে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/7386/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!
১. জ্বী আপনি মুসাফির হিসেবে কসর করবেন। সুন্নাত বা নফল
নামাজ চলন্ত অবস্থায় হলে না পড়াতে কোন সমস্যা নেই। আর কোথাও নিরাপত্তার সাথে অবস্থান
করাকালীন হলে সুন্নত পড়া উত্তম। না পড়লেও কোন গোনাহ নেই। তবে ফজরের সুন্নত কাযা না
করাই উচিত।
২.না, এসব পিঁপড়াও খাওয়া বৈধ নয়। কোনো খাদ্যের
মধ্যে পিঁপড়া থাকলে তা সম্পূর্ণরূপে বেছে ফেলে দিয়ে ঐ খাবার খাওয়া যাবে। জেনেশুনে
একটি পিঁপড়াও খাওয়া যাবে না। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৮৯; রদ্দুল মুহতার ৬/৩০৬)