بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কখনো অসতর্কতাবশত
যদি হঠাৎ কুরআনে পায়ের স্পর্শ লেগে যায় বা বেখেয়ালে তা পদদলিত হয় তাহলে করণীয় হল, তৎক্ষণাৎ লজ্জিত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
করা। (আসতাগফিরুল্লাহ-আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি) পাঠ করা) তাহলে আশা করা যায়
আল্লাহ তাআলার ক্ষমা করে দিবেন। কারণ অনিচ্ছা বশত: কোন ভুল বা অন্যায় আচরণ করে ফেললে
দয়াময় আল্লাহ তার গুনাহ লিখেন না।
সুতরাং এখানেও
তিনি গুনাহ লিখবেন না বলে আশা করা যায়। তারপরও এই অনিচ্ছাবশত: ভুলের জন্য আল্লাহর
কাছে বিনীত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেয়া নি:সন্দেহে উত্তম।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَلَيْسَ
عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُم
“ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোনও গুনাহ নেই।
কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫]
তিনি আরও বলেন,
رَبَّنا لا
تُؤاخِذنا إِن نَسينا أَو أَخطَأناّ
“হে আমাদের পালনকর্তা,
আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা হঠাৎ অনিচ্ছাবশত: কোন ভুল করে ফেলি তবে আমাদেরকে
ধরিও না।” [সূরা বাকারা: ২৮৬]
রসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«إِنَّ
اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ ، وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا
اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ»
“আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং
জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” [ইবনে মাজাহ: ২০৪৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৭১৭৫, বায়হাকি-হাসান]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জানার পরও কেউ
কুরআনের উপর দিয়ে পার হলে গুনাহ হবে। কিন্তু প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে না জানার কারণে ব্যাগের
উপর দিয়ে পার হওয়ার কারণে গুনাহ হবে না। তবে আপনার জন্য উচিত ছিল কুরআনের ব্যাগকে নিচে
না রাখা। এতে কুরআনের আদবের খেলাফ হয়। আর আগামীতে চলাফেরার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা
অবলম্বন করা জরুরি যেন, কোনোভাবেই
আল্লাহর কালামের প্রতি অসম্মান প্রদর্শিত না হয়।
২. উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ন্যাপথলিন মানবদেহে ক্যান্সার
সৃষ্টি করতে পারে। সামান্য পরিমান ন্যাপথলিনও স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত ক্ষতিকর। সুতরাং যেই বস্তু স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর তার গন্ধ নেয়া জায়েয হবে না। এই অভ্যাসকে
পরিত্যাগ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।এবং বিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ "আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ)
সরাসরি নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেনো তার স্ত্রীর (বিশেষ সময়ে) তার সাথে সহবাস না করে।
যদি করে তাহলে শয়তান গোপনকার্য চালানোর সময় পুরুষের আগে আগে থাকে এবং সেই শয়তানের দ্বারা
ঐ মহিলা গর্ভবতী হলে হিজড়া সন্তান জন্ম নেয়"। (ত্বরত্বসী,
কিতাবুল তাহরীম...মুখান্নাস হাদীস ২৬)
উপরোক্ত বর্ণনার সনদের অবস্থাঃ
আলোচ্য বর্ণনার বর্ণনানাকারীদের মধ্যে ইয়াহইয়া ইবন আইয়ূব আল-গাফিক্বী নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন। মুহাদ্দিসদের মতেঃ তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তি, দুর্বল। (মীযানুল ই’তিদাল: ৪/৩৬৩, আল-কামিল ফিদ দুআফা: ৭/২১৬)
মোটকথা, হিজড়াদেরকে শয়তান বা জ্বীনের সন্তান তো বলা যাবে না। তবে হ্যা, এক বিবরণ মতে শয়তান দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দরুণ পূর্ণ সুস্থ একটি মানব সন্তান শেষ পর্যন্ত তৃতীয় লিঙ্গের রুপ ধারণ করে নিতে পারে বলে জানা যায় । সুতরাং সবাইকে সতর্ক থাকা উচিৎ।
(উল্লেখ্য হিজরাদের উপরও ইসলামের পূর্ন বিধান আছে, তাদের মধ্যে কারো পুরুষ অংশ বেশী হলে তারা পুরুষের ন্যায় ইসলামের বিধান পালন করবে আর নারীর ন্যায় হলে নারীদের মত পালন করবে। তবে তাদের সমাজ থেকে বের করে দেয়া জাহেলীয়াতের কাজ। ইসলাম হিজড়াদের উপর এ বিধান কখনই আরোপ করেনি। ইসলাম তাদেরও পূর্ন মর্যাদা দিয়েছে।)