জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ডাভ সাবান ব্যবহার করা হালাল।
(০২)
অযুর ক্ষেত্রে অযুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওযু করার সময় অযুর যেই অঙ্গগুলোতে গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে,সেই অঙ্গ গুলো পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিলেই অযু হয়ে হবে।
,
আরো জানুনঃ
(০৩)
ডাভ ক্রিম ব্যবহার করা হালাল।এটা দিয়ে নামাজ পরা যাবে।
(০৪)
পা ডান দিকে বের করে দিবে।
(০৫)
যদি বাসায় গায়রে মাহরাম পুরুষ না থাকে,সেক্ষেত্রে সুগন্ধি ব্যবহার করে নামাজ আদায় করতে পারবে।
(০৬)
নির্দিষ্ট ভাবে কোনো সংখ্যা শরীয়তে নির্দিষ্ট নেই।
(০৭)
ছেলদের জন্য ননমাহরাম কাহারো ছবি ভিডিও দেখা জায়েজ নেই।
মেয়েদের জন্য ফিতনার আশংকা না থাকলে ও সেখানে শরীয়ত বহির্ভুত কিছু না থাকলে দেখার অনুমোদন রয়েছে।