بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মহান আল্লাহ সম্মানিত
রসূল ইবরাহীম আলাইস সালাম কে বহু বছর বন্ধ্যত্ব কাটানোর পর বৃদ্ধ বয়সে তাঁর স্ত্রীর
সারা আ. এর গর্ভে ইসহাক আ. কে দান করেছিলেন।
মনে রাখতে হবে,
আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছে সন্তান দান করেন
আর যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ার ভুক্ত বিষয়। আল্লাহ তা’আলা
বলেন:
لِّلَّـهِ
مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ۚ يَهَبُ لِمَن يَشَاءُ
إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَاءُ الذُّكُورَ أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا
وَإِنَاثًا ۖ وَيَجْعَلُ مَن يَشَاءُ عَقِيمًا ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
“নভোমণ্ডল
ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা
পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা
করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।” (সূরা শূরা: ৪৯ ও ৫০)
বন্ধ্যা নারীকে
বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত
করেছেন। প্রশেল্লিখিত হাদিসটিতে সন্তান প্রসবকারী
নারীকে বিবাহ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
উক্ত নিষেধাজ্ঞা
দ্বারা বন্ধ্যা বিবাহ হারাম করা হয়নি। বরং একে অপসন্দনীয় বলা হয়েছে (ইবনু কুদামা,
আল-মুগনী ৭/১০৮;
ফাতহুল বারী ৯/১১১)।
সুতরাং বন্ধ্যা
মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। আল্লাহর ইচ্ছা হ’লে তারাও সন্তান সম্ভবা হ’তে পারে। ইব্রাহীম
(আঃ)-এর স্ত্রী সারা বন্ধ্যা ছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে ইসহাক জন্মের সুসংবাদ দেন (হূদ ১১/৭১)।
একইভাবে যাকারিয়া (আঃ) নিঃসন্তান ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করেন এবং
নবী ইয়াহইয়ার জন্ম হয় (আলে ইমরান ৩/৩৮-৪০)। এক্ষণে অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারী
চেনার উপায় হ’ল তার পূর্ববর্তী নারী তথা মা, খালা বা ফুফুদের সন্তানের ইতিহাস পর্যালোচনা করা। তাদের
অধিক সন্তান থাকলে সেও অধিক সন্তানদানে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা যায় (আযীমাবাদী,
‘আওনুল মা‘বূদ ৬/৩৪;
সুবুলুস সালাম ২/১৬২)।
বন্ধ্যত্ব দূর
করার জন্য যথাসাধ্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা করার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট দুয়া
ও কান্নাকাটি করতে হবে। আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ, জীবনের একটা সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও
মহান আল্লাহ মানুষকে সন্তান দান করেছেন-এর বহু নজির আছে।
সুতরাং বিয়ের পর
আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ না হয়ে যথাসম্ভব চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি আল্লাহর নিকট দুআ
করতে হবে। দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই সন্তান দানের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ
করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম প্রজ্ঞাবান ক্ষমতাশীল। (আংশিক সংগৃহিত)
আরো জানুন: https://ifatwa.info/11754/