আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
শ্রদ্ধেয় আল্লাহর বন্ধু,

উনি কারো সাথে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন এবং আশেপাশে তেমন কেউ নেই মানহায মানেন এমন কেউ।
তাই আমি উনার হয়ে আপনাকে প্রশ্ন করছি। উনি আমাকে হুবহু বলছেন উনার কী কী সমস্যা যেহেতু আমিই লিখে দিচ্ছি উনার হয়ে এবং প্রশ্নেরও একটা হক রয়েছে বলে।

উনার সমস্যা দেখা দিচ্ছে যবে থেকে উনার রক্ত শূন্যতা হয়েছে। কিছু কিছু সময় উনি রেগুলার ঋতুবতী হোন,আবার কিছু কিছু সময় তিন-চার মাস কিংবা পাঁচ-সাত মাস ধরে ঋতুবতী হোননা।
এর জন্য ডাক্তারও দেখিয়েছেন ডাক্তার উনার ওজন বাড়াতে বলেছেন। উনার রক্ত শূন্যতার প্রভাব দেখা দেন তখন,যখন উনার ওজন কমার সমস্যা হয়। উনি যখন রেগুলার ঋতুবতী হোন তখন উনি ৫-৭ দিন কিংবা সর্বচ্চ ১০ দিন ধরে ব্লাড দেখে থাকেন।
গত তিন-চার মাস ধরে উনার ওজন কমে গিয়েছে খুব,তাই উনি গত তিন-চার মাস ধরে ঋতুবতী হোননি। কিন্তু উনি গত ৯ই অক্টোবর থেকে ২৫এ অক্টোবর পযর্ন্ত দুই একদিন পর পর সল্প-সল্প পরিসরে ব্লাড দেখেন যা গাঢ় লালছে রংয়ের ছিলোনা শুরুর দিকে তবে শেষের দিকের দিন গুলোতে ব্লাডের মাত্রা কিছুটা বেড়েছিলো এবং ব্লাডের গাঢ় লালছে রংয়ের ভাবটা বেড়েছিলো কিছুটা। এরপর ধীরে ধীরে কমে গিয়েছে এবং ২৫ তাঃ পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো ব্লাড দেখাটা।

এর কয়েকদিন পর করে উনি যখনি ওয়াশরুমে যাচ্ছেন তখনি সাদাস্রাব দেখতে পাচ্ছেন। উনার পোশাকেও নাকি সাদাস্রাব দেখছেন, সারাদিনে অনেকবার করে সাদাস্রাব হচ্ছে উনার।

 গত ৩/৪ই নভেম্বর (উনি ঠিক জানেন না কবে শুরু হলো তবে এই দুই তারিখের মধ্যে যে কোন একটাতে হবে) উনার আবার ব্লাড দেখা গেলো এবং স্বাভাবিক ঋতুবতী হলে যেমনটা হয় উনার বর্তমানে ঠিক তেমনি ব্লাড দেখা যাচ্ছে এবং তা এখনো অব্যাহত আছে।
পয়েন্ট নাম্বারঃ-১

উনি কী সাদাস্রাবের ক্ষেত্রে মাজুর বলে গণ্য হবেন? যখন সাদাস্রাব দেখেছিলেন উনি। যেহেতু বার বার সাদাস্রাব দেখেছেন ওয়াশরুমে গেলেই। নামাজের জন্যেও যে পবিত্র থাকতে হয় সে হিসেবে তখন কী উনি মাজুর ছিলোন? এই বিষয়টাও একটু বুঝিয়ে বলবেন অনুগ্রহ করে।
পয়েন্ট নাম্বারঃ- ২

উনার ঋতুবতী হওয়ার বিষয়টা নিয়েও সন্দেহে ভুগছেন কাজা নামাজ উনার উপর বর্তালো কিনা তা নিয়ে এবং উনি ঠিক কতদিন সঠিক ভাবে ঋতুবতী ছিলেন তা নিয়ে। উনি কী এখনো হায়েজরত অবস্থায় আছেন? নাকি যেকোন একটা হায়েজ এবং অন্যটা ইস্তেহাজা? ঠিক বুঝতেছেন না উনি।
এখন উনার কী করা উচিত শ্রদ্ধেয় আল্লাহর বন্ধু, যদি অনুগ্রহ করে সমাধান দিতেন আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব উপকৃত হবো أن شاء الله।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আপনার উপর রহমত বর্ষণ করুক। আপনার পথ সহজ করুক,ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক,আপনাকে হকের উপর অটল থাকার তৌফিক দান করুক,আপনাকে দৃঢ় ঈমানের উপর অটল রেখে মৃত্যু বরণ করার তৌফিক দান করুক।

 أمين ثم أمين
جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50

(২)
যেই মাসে উনার হায়েয আসবে, সেই মাসে উনি নামায পড়বেন না।আর যে মাসে রক্তস্রাব হবে না।সেই মাসে উনি নিজেকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করবেন।তখন নামায রোযা করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...