আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আমার ওয়াসওয়াসার রোগ আছে।
আরবের শুষ্ক আবহাওয়ার কারনে নাকে মাঝে মাঝে রক্ত পাই পরিষ্কার করার সময় যা অধিকাংশ সময় থাকে শুষ্ক আবার কখনো শুষ্ক না। অযুর সময় পরিষ্কার করার সময় প্রথমে আংগুল দিয়ে মোটামুটি বের করি। পরে পানি দিয়ে নাকের বাইরের অংশ একবার ধুই আর দুই হাত ধুই। পরে নাকের দুই ছিদ্রতে একসাথে পানি প্রবেশ করাতে গেলে কোন ছিদ্রে ঢুকেছে বুঝতে পারি না, তাই প্রথমে এক নাকে দুইবার পানি প্রবেশ করাই। পরে যে হাত দিয়ে প্রবেশ করিয়েছি তাতে রক্ত মিশ্রিত পানি লাগার কারণে এবং নাকের সাথে স্পর্শ করার কারনে সে হাত ভাল করে ধুই। পরে ঠিক এমনটা অপর ছিদ্র ধোয়ার সময় করি। পরে নাকের সর্দি পরিষ্কার করি যদি বেশি থাকে। পরে আবার নাকের বাইরের অংশ ভালো করে ধুই যাতে ৩য় বার ছিদ্রে পানি ঢুকানোর সময় ছিদ্রের বাইরের অংশ থেকে আগের রক্ত ধোয়া পানি পাক পানির সাথে না ঢুকে। দুই হাত আবার ধুই। পরে শেষ বারের মত আবার এক ছিদ্রে একবার পানি ঢুকাই আর বের করে ফেলি। পরে আবার হাত ভালো করে ধুই আর নাকের বাইরের অংশ ভালো করে ধুই যাতে অপর ছিদ্রে পানি ঢুকানোর সময়  অপর ছিদ্রের ধোয়া পানির কোন অংশ পাক পানির সাথে না ঢুকে। পরে অপর ছিদ্রে একবার ধুই। সবশেষ আবার নাকের বাইরের অংশ ভালো করে ধুয়ে দুই হাত ধুয়ে নেই। এরপরও যদি রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত পানি থাকে সেটা
لا يكلف الله نفسا إلا وسعها
এই আয়াত স্বরণ করে এড়িয়ে যাই।
এই সম্পুর্ণ কাজে অনেক সময় লাগে। আমার মনে হয় এটা বাড়াবাড়ি, কিন্তু সঠিক পদ্ধতি জানা নেই তাই এমনটা করা। এর কারণে আরো অনেক সমস্যা তৈরি হয়। যেমন এই এক অযুতে বেশ কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি এবং এর মাঝে নাকে পরিষ্কার করি না এই ভয়ে যদি রক্ত দেখতে পাই। জানি না নামাজগুলো শুদ্ধ হবে কিনা। কখনো নামাজ কাযাও হয়।
আমি যা করি সেটা কী ভুল পদ্ধতি? যদি হয় তাহলে এই রক্ত পরিস্কারের সঠিক কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/6428/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)

আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)

ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো  কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুঝা যায় যে আপনার নাক ঝরিয়ে রক্ত বের হয়নি।
খুবই সামান্য রক্ত বের হয়ে নাকের মধ্যেই ছিলো।
,
সুতরাং উল্লেখিত আপনার সম্পূর্ণ কাজকে বাড়াবাড়ি বলা হবে।

আপনার নাক দিয়ে রক্ত ঝড়লে আপনি টিস্যু প্রেস করে মুছে নিয়ে নাকে পানি দিয়ে কিছুটা নিচু হয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি আর কনিষ্ঠ আঙ্গুল নাকের দুই ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এভাবে ২/৩ বার করবেন। 

তাহলেই নাক পরিস্কার হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 222 views
...