আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
334 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম বিয়ের মাসআলা পড়ে ওয়াসওয়াসা আসতো। আমার বিয়ের আগে একজন পছন্দ করতাম তাকে নিয়ে। অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার পর এই ওয়াসওয়াসা আসতো আমার। তো আমি আমার মাকে বলছিলাম তুমি ঐ ছেলেকে একটা ফোন দিয়ে শোনো মানে আমি সিচুয়েশন কল্পনা করতাম মানে সন্দেহ আসতো এমন কবুল বলার ঘটনা হইছে কি না। কিন্তু পরে আমার ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যায় আর ১০০% শিওর এমন কোন বাস্তবে সিচুয়েশন হয় নাই। তো আমার আম্মুকে ফোন দিতে বললে আমার আম্মু ঐ ছেলেকে ফোন দিতে চায় নাই। তো আমি আম্মুকে বলছিলাম তোমাকে ফোন দিতে বলতিসি কারণ এমন কিছু হলে তো এখন আমার যিনার গুনাহ হচ্ছে বা হবে। পরে আম্মু ঐ ছেলেকে ফোন দেয় এবং সে বলে এমন কোন সিচুয়েশন হয় নাই। আর আমি ঐ ছেলে বলার আগে শিওর হই এমন কিছু হয় নাই কল্পনা সব আমার। তো আমার আম্মুকে এমন কথা বলার জন্য কি আমার এখন বৈবাহিক জীবনে তালাক বা অন্য কোন সম্যসা হবে?

(২) বন্ধু তুই লোকাল বাস ও বন্ধু তুই লোকাল বাস, আদর করে ঘরে তুলিস ঘাড় ধইরা নামা।।  আরেকটা ও বন্ধু লাল গোলাাপি কই রইলারে এই জাতীয় গান গুলোতে কি কোন ইজাব কবুলের শব্দ আছে?

শায়েখ একটু জরুরি প্রশ্ন একটু জলদি উত্তর পেলে খুশি হতাম। আল্লাহ আপনাকে অঢেল রিজিক দান করুক

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আপনার আম্মুকে এমন কথা বলার জন্য আপনার এখন বৈবাহিক জীবনে তালাক বা অন্য কোন সম্যসা হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)

সুতরাং পাত্র বিবাহের প্রস্তাব পেশ করতে পারে,পাত্রীও প্রস্তাব পেশ করতে পারে।

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। 

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এই জাতীয় গান গুলোতে কোন ইজাব কবুলের শব্দ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...