بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/57391/ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন
তথা যাওয়া আসা, সেখানে
থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে। সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে
হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা
আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ
ولله على الناس حج البيت من استطاع
اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা)
মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে
এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে,
আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী
নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
★ফাতওয়ার
কিতাবে এসেছেঃ
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের
অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক
খরচ হয়ে যায়, তার
উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)
হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ
বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
(রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
মহিলাদের উপর হজ্বঃ
দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা,
সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা
থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ
হয়ে থাকে।
স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না। বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায়
হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে।
নারীদের সাথে মাহরাম ব্যক্তি থাকা অপরিহার্য। মাহরাম সাথে না থাকলে হজে
যাওয়া জায়েজ নেই।
যদি কোনো মাহরাম হজে যাওয়ার মতো না থাকে,সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষকে হজে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ থাকা উক্ত
মহিলার উপর হজ্ব ফরজ হওয়ার শর্ত বলে বিবেচিত হবে।
নতুবা হজ্ব আদায় করবেনা।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/21183/
সম্মানিত
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন !
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে জীবিত থাকাবস্থায় যখনি আপনি হ্জ্জ করার সুযোগ পাবেন আপনাকে হ্জ্জ করতে হবে
যদি আপনার নিজের এবং সাথে মাহরামকে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য হয়। আপনার ভাই আপনাকে
টাকা ফিরত দেওয়ার পরে বা অন্য কোন উপায়ে আপনি সক্ষমতা ফিরে পেলেই আপনাকে হজ্জ করতে
হবে। যদি আপনি আদায় করতে না পারেন তাহলে আপনার উত্তরাধীকারীদেরকে আপনার পক্ষ থেকে
বদলি হজ্জ করার অছিয়ত করে যেতে হবে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/20291/